বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com
সংবাদ শিরোনাম :
‘যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, তারা এখন মাছ-মাংসের চিন্তা করে’ আমিরাতে বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেলেন দুই জন কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করা উচিত : প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরিপ্রতি বাড়ল ২০৬৫ টাকা দেশের বাজারে রেকর্ড স্বর্ণের দাম সিনেমা-টিভি খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতারা সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন : এমপি-মন্ত্রীদের সন্তান ও আত্মীয়রা প্রার্থী হতে পারবেন না রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী

প্লাস্টিকের সোনার বাটী, সীমার মাঝে অসীম

প্লাস্টিকের সোনার বাটী, সীমার মাঝে অসীম

অর্থ বছরের শেষ মাসের আগেরদিন ৩১ মে, একদিনে সর্বোচ্চ ৪০ মৃত্যু এবং প্রায় সর্বোচ্চ ২৫৪৫ আক্রান্ত দিয়া ‘সীমিত ভাবে সকল কার্যক্রম’ এর পরাজয় যাত্রা শুরু হইল।

৬ এপ্রিল ‘জীবনের যুদ্ধ’ ‘জীবিকার যুদ্ধ’ নিয়া লিখিয়াছিলাম। প্রথম জীবন যুদ্ধই জয়লাভ করে এবং পরে জীবন জীবিকাকে আশ্রয় করে।জীবিকার যুদ্ধকে কোনোরকম জীবিত রাখিয়া জীবনের যুদ্ধকেই আরও কিছুদিনের জন্য বেগবান রাখার পক্ষে ছিলাম এখনও আছি।

এ পর্যন্ত রোগ, প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং সমন্বয় বিষয়ে যত বিশেষজ্ঞের এবং সংস্থার বিশ্লেষণ শুনিয়াছি তাঁহাদের কেহই উর্ধমুখী সংক্রমন ও মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক/সকল কার্যক্রম খুলিয়া দেওয়ার অভিমত প্রদান করেন নাই। বরং অনেক বিশেষজ্ঞই কঠোর লকডাউন এবং প্রয়োজনে কার্ফিউর কথা বলিয়াছেন। অনেক দেশ ইতিপূর্বে ঠকিয়াছে।

রোগ ছড়ানোর জানা মাধ্যম ছাড়া আরও অজানা মাধ্যম থাকিতে পার। তবু বর্নিত হাঁচি-কাশি র শিষ্টাচার, স্বাস্থ্যসম্মত বিধান, শারিরীক দূরত্ব এবং গৃহে অবস্থান যাঁহারা মানিয়া চলিয়াছেন ব্যতিক্রম বাদে তাঁহারা আক্রান্ত হন নাই। অতএব এখন পর্যন্ত সংক্রমন ঠেকানোর ইহাই একমাত্র স্বীকৃত পন্থা।

আমাদের দেশে জনগনের একাংশের প্রবল অসহযোগীতায় এই পন্থা সঠিক ভাবে কাজে লাগানো যায় নাই। আরও প্রবল গার্মেন্টস, কলকারখানা, ব্যবসায়ী, ধর্ম, ত্রানের নামে আত্মপ্রচারের কাছে সরকারের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নতিস্বীকার জনিত ব্যর্থতা। সাথে শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্ব। তবু ঢিলেঢালা লকডাউন এবং কোয়ারান্টাইনের মধ্যেও কম সংক্রমনের সুফল ফলিয়া ছিল।

পবিত্র রমজানের শেষ ভাগে ঈদের আগে সীমিত সংখ্যক গার্মেন্টস এবং কলকারখানা দোকানপাট সীমিত ভাবে খুলিয়া এবং গনপরিবহন বন্ধ করিয়া পুলিশ টহল বসানো হইয়াছিল। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারী, ক্রেতা ও বাড়ী-যাত্রীদের ভীড় নিয়ন্ত্রন করিয়া শারিরীক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা যায়নাই। বরং অগনিত সংখ্যক মানুষকে সীমিত সময়ে বাড়ীতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হইল। রাস্তায় দ্বিচক্র-ত্রিচক্ত, প্রাইভেটের নামে ভাড়ার চার চক্রযানে, ট্রাক, মাছের ড্রাম, স্পীডবোট, লঞ্চ ফেরীতে পিল পিল করিয়া অধিক জনঘনত্বের নতুন উদাহরন সৃষ্টি হইয়াছে। ঢাকা গাজীপুর নারায়নগঞ্জকে সীমিত আকারে সারাদেশে পৌঁছানো হইল।

এখন আবার ২৪ ঘণ্টায় অনেক সিদ্ধান্ত দেখিলাম! শিরোনাম হইল আর ছুটি বাড়িবে না।*** বলা হইল সবকিছু স্বাভাবিক হইলেও গণপরিবহন চলিবে না। *** দুইঘণ্টা পর আরেক ঘোষনা। সীমিত আকারে গণপরিবহনও চলিবে। এই সীমিত আকারে অসামঞ্জস্য রূপে সব কিছু খুলিয়া দেওয়ায় প্রচন্ড সমন্বয় হীনতা দেখা দিয়াছে। ইহাতে গার্মেন্টস কলকারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পরিবহন, অফিস আদালতে সীমার মাঝে অসীম সংক্রমন হইবে বলিয়া বিশেষজ্ঞ গন আতংকিত। এবং প্রতিদিনের রিপোর্টে সেই মত আতংক পরিস্ফুট হইয়া উঠিতেছে।

বিত্তহীন এবং দৈনিক শ্রমজীবিরা পেটে পাথর বাঁধিয়া থাকিতে পারেনা। তাঁহাদের খাওয়া-পরার একটা বিকল্প ব্যবস্থা রাখিতেই হইবে।

এখন দেশব্যপী এবং উর্ধমুখী মৃত্যু ও সংক্রমণ কালে আবার সীমিত কার্যক্রমে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, বিমানবন্দর, দোকান, অফিস আদালত, হাসপাতাল, লিফট এর ভীড় কে কাহারা নিয়ন্ত্রন করিবে। হুড়মুড় করিয়া বাহির হওয়া মিনিবাস-সিএনজি…….., যানবাহনের আসন কে বিন্যাস করিবে। যানবাহন দোকানপাট অফিস আদালত জীবানুমুক্ত করন, সামনের বাতাস পিছনে যাওয়া, এসি কক্ষে বাতাসের আবর্তন, অভদ্র প্রবাসীদের fuck করা কে নিয়ন্ত্রন করিবে ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন। ইতিপূর্বে এসব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা যায় নাই। এই জায়গাগুলোতে শারিরীক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা প্লাষ্টিকের সোনার বাটি র মত অসম্ভব ব্যপার।

পুর্বসূরী উচ্চতর নিয়ন্তারা বাহিরে উজ্জ্বল করিয়া হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ অবস্থা কতটা অন্তঃসার শুন্য করিয়া গিয়াছেন করোনা সংক্রমনকালে তাহা প্রকট হইয়া উঠিয়াছে। আরও অধিকতর সংক্রমনে বেড দেওয়ার সামর্থই আমাদের নাই। তাহার উপরে চিকিৎসা, অক্সিজেন, আইসিউ ভেন্টিলেটর না পাইয়া বিনা চিকিৎসায় ঘরে রাস্তায় গাড়ীতে দূর্ভোগ বা দুঃখ জনক মৃত্যুর হৃদয় বিদারক দৃশ্য আমাদের দেখিতে হইবে।

আমাদের মনে হয় সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার প্রয়োজন হইবেই। অধিকতর বিপদের মধ্যে না যাইয়া আগেভাগেই স্বিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনা করিয়া মাসখানেকের জন্য কঠোর কার্যকরী লকডাউন, হলুদ লাল জোনে ১৪৪ ধারা, সান্ধ্য আইন ইত্যাদি বিবেচনা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করিতেছি।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech