জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরূল আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন বিজিএমইএ কর্তৃক গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিক ছাটাইয়ের ঘোষনাকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেনে। আজ এক বিবৃতিতে তারা বলেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক কর্তৃক গতকাল আকস্মিকভাবে ঘোষনা করেছেন যে তারা জুন মাসে শ্রমিক ছাঁটাই করবেন। এটি তাদের সরকারের কাছে পুর্বে প্রদত্ত ছাঁটাই না করার প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ ।
আমরা করোনা মহামারির দুর্যোগকালীন এই পরিস্থিতে শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা সুরক্ষার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাই। তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন পরিশোধ করার জন্য শুরুতেই সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রনোদনা দিয়েছিল যা গার্মেন্টস মালিকরা নিয়েছেন। এই অর্থ নেয়ার পর তারা শ্রমিকদের বেতন ৬৫% ভাগ ও ঈদ উৎসব বোনাস ৫০% দেয়ার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের প্রভাবিত করে সফলও হয়। শুধু তাই নয় প্রনোদনার অর্থ হাতিয়ে নিতে তারা কৌশল হিসেবে কারখানা চালু করার কথা বলে শ্রমিকদের দুদুরান্ত থেকে পশুপালের মত তাড়িয়ে এনে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ঠেলে দিয়েছিলেন।
আর এখন কভিড-১৯ মোকাবেলায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের নামে তাদের বিদেশী সহযোগীদের কাছ থেকে সহযোগিতা আদায়ে শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস সনাক্তে পিসিআর ল্যাব স্থাপন উদ্বোধন করছেন এবং একই সাথে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষনা দিচ্ছেন। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, গত চার দশকে যে শিল্প শ্রমিকের শ্রমে আজকের পর্যায়ে এসেছে, যাদের শ্রমে অর্জিত মুনাফায় মালিকের সম্পদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে সেই শ্রমিকের অন্ত্যত তিনমাসের বেতন দিতে তারা অক্ষম এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। কভিড-১৯ মহামারি কালে এই ধরনের শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষনা শ্রমঅধিকার হরনের শামিল।
বিবৃতিতে তারা অনতি বিলম্বে বিজিএমইএ’র শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষনা প্রত্যাহারের দাবী জানান। বিবিৃতিতে নেতৃবৃন্দ, পরিপুর্ণ ও শোভন স্বাস্থ্যসেবার অধিকার; মৌলিক মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া, স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারিকরণ বন্ধ করা, সবার জন্য নিরাপদ ও বিনামুল্যে প্রতিষেধক পাওয়ার সুযোগ. ছাঁটাই ও চাকুরিচ্যুতি বন্ধ, শোভন কাজ ও মজুরির অধিকার নিশ্চিত করা, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ট্রেডিইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করা এবং সামাজিক বৈষম্য দুর করার দাবী জানান।
বার্তা প্রেরক
(কামরুল হাসান)