বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বানারীপাড়ায় করোনাকালীন সচেতনতার বানী মানছেন না অনেকেই

বানারীপাড়ায় করোনাকালীন সচেতনতার বানী মানছেন না অনেকেই

বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভায় কোভিড-১৯ পজিটিভরোগী দিনের পর দিন বাড়তে থাকায় পুরো শহরকে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ও প্রথম বারেরমতোরেডজোন’র আওতায় আনা হয়েছে।

আর এই ঘোষণা আসার পর থেকেই বরিশাল-২ আসনের সংসদসদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলম,উপজেলাচেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক,পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল, উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাস ও ভাইসচেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা এ বিষয়ে রয়েছেন সতর্ক অবস্থানে। পজিটিভ রোগীদের এবং তাদেরপরিবার কোন অবস্থায় রয়েছেন প্রতিনিয়ত তার খোঁজ-খবর রাখছেন তারা।

যাদের খাবারের প্রয়োজন হচ্ছে তাদের বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে। এদিকে রেডজোন ও দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা হবার পর থেকে বরিশালের বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রধান প্রধান সড়কের প্রবেশ মুখে সাইনবোর্ড সাটিয়ে লিখেরেখেছেন মাস্ক ছাড়া বাজারে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।

এছাড়াও বন্দর বাজারেরব্যবসায়ীরা মাস্ক নেই এমন কোন ক্রেতার কাছে পণ্যতো বিক্রিই করেন না বরং মাস্ক না থাকলেদোকানের সামনেই দাঁড়াতে দিচ্ছেন না। সকল ধরণের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে রেখেছেনহ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবানু নাশক স্প্রে। মাস্ক পড়া ক্রেতাদের হাতে-পায়ে ও গায়ে স্প্রে করে তবেই তাদের কাছে পন্য বিক্রিকরছেন ব্যবসায়ীরা। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের সামনেও লিখে রাখা রয়েছে মাস্ক ছাড়া ভিতরেপ্রবেশ নিষেধ।

সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখা হয়। অপরদিকে করোনাকালীন সতর্কতার জন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানে সাটানো হয়েছে বিশেষ সতর্কবাণী। তবে সন্ধ্যার পরেও অসচেতন কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রাখছেন। এদের মধ্যে বেশ কিছু চায়ের দোকান উল্লেখযোগ্য,যেখানে লোক সমাহমও হয় অনেক। এ সময় বিকিকিনি করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিধি মানার মানসিকতা থাকেনা অনেকের মধ্যেই।

২৮ জুন রবিবার বানারীপাড়া থানার চৌকস সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বিকেল ৫ টার পরে শহরের ১নংওয়ার্ডে খোলা রাখা সকল চায়ের দোকানে গিয়ে সতর্ক করেছেন দোকানী এবং ক্রেতাদের। তাকে দেখে সবাই দোকানের সাটার নামালেও চলে যাবার পরে যেই লাউ সেই কদু অবস্থা হয়েছে দোকান গুলোর।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech