বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বরিশালে সমাজচ্যুত করায় আইনি নোটিশ

বরিশালে সমাজচ্যুত করায় আইনি নোটিশ

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের রমেশ চন্দ্র করের পুত্র প্রভাত কর এলাকার কয়েকজন সমাজপ্রতিদের সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ প্রদান করেছেন। আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয় নিমন্ত্রন ফেরত দিয়ে তাকে সামাজিকভাবে মানহানী করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের বিধান মতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বিপ্র বেদান্তীর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামের বাসিন্দা রবি মজুমদারের মায়ের মৃত্যুর পর হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি মোতাবেক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রামের সবাইকে নিমন্ত্রন করা হয়। সূত্রমতে, গ্রামের কয়েকজন সমাজপতির সাথে রবি মজুমদারের ব্যক্তিগত কোন্দল থাকার কারনে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য গ্রামের সবাইকে সেই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যেতে নিষেধ করা হয়।

সমাজপতিদের বাঁধা উপেক্ষা করে সমাজের কিছু লোক ওই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। এতে সমাজপতিরা ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিদের সমাজচ্যুত করেন।

আইনি নোটিশে উল্লেখিত সমাজ প্রতিরা হলেন, বিশ্বেশ্বর বাড়ৈর পুত্র রনজিৎ কুমার বাড়ৈ, যোগেন্দ্র নাথ মজুমদারের পুত্র নিত্যানন্দ মজুমদার, রতি কান্ত সরকারের পুত্র রমনী কান্ত সরকার, সুধান্য রায়ের পুত্র সুশিল চন্দ্র রায়, গৌরঙ্গ সরকারের পুত্র অতুল চন্দ্র সরকার, লাল মোহন মিকারীর পুত্র নিবারন চন্দ্র সরকার, শশী ভূষন করের পুত্র পরেশ চন্দ্র কর।

নোটিশে আরও উল্লেখ রয়েছে, একই গ্রামের বাবু সুনিল সরকার বার্ধক্যজনিত কারনে মৃত্যুবরন করিলে তাহার উত্তসূরীরা হিন্দু ধর্মীয় রিতিনীতি মোতাবেক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করেন। ওই অনুষ্ঠানে সুনিল সরকারের পুত্র স্বপন সরকার বংশীয় লোকদের নিমন্ত্রন করলে সমাজ প্রতিদের চাঁপের মুখে আমন্ত্রিত অতিথিরা শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি।

আইনি নোটিশে উক্ত সাত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় সমাজ ব্যবস্থা পরিচালনা করে দীর্ঘ মেয়াদী কায়েমী স্বার্থ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছেন। এছাড়া সামাজিক নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগে ক্ষমতার অপব্যবহারে সামাজিক কোন্দল সৃষ্টি করে ভিন্ন মতালম্বীদেরকে নানাভাবে হেনেস্তা ও হয়রানি করে সামাজিক কর্মকান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের বিধান মতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত সমাজপতি রনজিৎ কুমার বাড়ৈর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি একটি নোটিশ পেয়েছি, ওই নোটিশ কিসের আমি এখনও তা খুলে দেখিনি।#

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech