পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিন থেকে নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর থেকে একজনকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার সাথে জড়িত মনিরুজ্জামান নামের ওই ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবী পিবিআইয়ের।
বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় নগরীর রুপাতলী সড়কে পিবিআই এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পিবিআই -এর বরিশালের পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির।
তিনি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবী পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তার।
পিবিআই আরও জানায়, মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুরের আবুল কাসেম রোড থেকে মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত সোমবার অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে এক নারীর মরদেহ পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে উদ্ধার করে আইন শৃ্খংলা রক্ষা বাহিনী। পরে জানা যায়, ওই নারীর নাম জান্নাতল ফেরদৌস লাবনী এবং ঠিকানা মিরপুরের পল্লবী। এরপর তার পরিবার ও প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে পরবর্তিতে মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
নৌ-পুলিশের বরিশাল বন্দর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ মামুন জানান, গ্রেপ্তারকৃত মনির জানিয়েছে সে গোপনে লাবনীকে বিয়ে করেছিল। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে কথাবর্তার এক পর্যায় উত্তেজিত হয়ে ওড়না পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে লঞ্চ থামার পর সড়ক পথে ঢাকায় পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঢাকা থেকে বরিশালগামী পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নারীর মরদেহ। এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর নৌ পুলিশের এসআই অলক চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।