ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে সহকারীদের কাছে জানতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বড় ধরনের যুদ্ধ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে পরবর্তীতে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন।
তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস বাকি থাকতেই তিনি হামলার এই সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখেছেন। সোমবার নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে এমন তথ্য মিলেছে।
গত বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে এক বৈঠককালে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সহকারীকে প্রশ্ন করেন এই বিদায়ী রিপাবলিকান নেতা। এ সময় মার্কিন ভাইস সিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিল্লেই উপস্থিত ছিলেন।
আসছে যে কোনো সপ্তাহে ইরানের প্রধান পরমাণু স্থাপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে কিনা; তা জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু সামরিক হামলার দিকে না যেতে তাকে বিরত রাখেন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এমন হামলা প্রেসিডেন্টের দায়িত্বের মেয়াদ শেষকালে বড় ধরনের সংঘাত তৈরি করবে।
এর আগে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরান অব্যাহতভাবে ইউরেনিয়াম মজুদ করে যাচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুসারে, এমন হামলার সম্ভাব্য নিশানা হতে পারত নাটানজ। সেখানে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তিতে অনুমোদিত পরিমাণের ১২ গুণ ইউরেনিয়াম মজুদ করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণের লাগাম টেনে ধরতে চুক্তিটি সই করা হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে লেগে আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পর থেকে তিনি দেশটির বিরুদ্ধে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছেন।
তেলসমৃদ্ধ দেশটির অর্থনীতি চাকা বন্ধ করে দিতে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়ারও অঙ্গীকার করে ট্রাম্প প্রশাসন।
আগামী ২০ জানুয়ারি ডেমোক্র্যাটদলীয় জো বাইডেনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ট্রাম্প। কর্মকর্তারা বলেন, তিনি হামলার সম্ভাব্যতা জানতে চেয়েছেন। কিন্তু তার সহকারীরা তাকে পুরো পরিস্থিতির বর্ণনা দেন এবং সামনে এগিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।