উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। তীব্র ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনমজুর, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষজনের জীবন যাত্রা।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা কমে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস।
কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্যের দেখা মিললেও তীব্র ঠান্ডার কারণে উষ্ণতার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। পর্যাপ্ত আলো না মেলায় কমছে না ঠান্ডার প্রকোপ। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে শিশু ও বড়দের বিভিন্ন শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতালেও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চলমান শৈত্যপ্রবাহে শ্রমজীবী মানুষদের চরম দুর্দশা বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না শিশু ও বয়স্ক মানুষ। একটু উষ্ণতা পাবার আশায় গ্রামাঞ্চলের শীতবস্ত্রহীন মানুষজন তাকিয়ে থাকছেন সূর্যের আলোর দিকে। সারা দিন ঠান্ডার তীব্রতার কারণে হাট-বাজারে গরম কাপর কিনতে লোকের সমাগম দেখা গেছে।
এদিকে ধুম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরির। নতুন শীত বস্ত্র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, হতদরিদ্র মানুষগুলো ফুটপাতের দোকানগুলোতে পুরাতন কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘণ্টা এমন অবস্থা বিরাজমান থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।