বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০- এর রেজিস্ট্রেশন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০- এর রেজিস্ট্রেশন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০’ এ অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীগণ চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাবেন। মোবাইল নম্বর অথবা ইমেইল অ্যাড্রেস যাচাইকরণের মাধ্যমে অনলাইনে সহজে ও বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন আবেদনকারীরগণ।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধুমাত্র বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিদ্যা বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য দুই মাস ব্যাপী তিন রাউন্ডের এই প্রতিযোগিতাটি ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডে হবে একক প্রতিযোগিতা; আর ফাইনাল রাউন্ডটি হবে দলীয়। প্রতিযোগিতার সেরা তিন দল পুরস্কার হিসেবে ল্যাপটপ অথবা হুয়াওয়ে মোবাইল, হুয়াওয়ে স্মার্ট ওয়াচ অথবা ব্যান্ড পাবেন। সর্বোপরি, বিজয়ী দল হুয়াওয়ে আইসিটি কমপিটিশনের রিজিওনাল ফাইনাল ও ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটলে তারা চীনের শেনঝেনে অবস্থিত হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন। এমনকি তাঁরা পরবর্তীতে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস ( বাংলাদেশ) লিমিটেডে চাকরীর ক্ষেত্রে নির্বাচিতও হতে পারেন।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিদ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষ কিংবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাগণ এ প্রোগ্রামটিতে অংশ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় উভয়কেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট থেকে হুয়াওয়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে এবং বাংলাদেশের আইসিটি ট্যালেন্টের বিকাশে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সাথে মিলে হুয়াওয়ে ’বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০’ শুরু করেছে।

আইসিটি ডিভিশনের অধীনে আইটি-আইটিইএস ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্ট (এলআইসিটি) এর আইসিটি ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ এবং বিসিসি এই প্রোগ্রামটি সমন্বয় করছে।

এলআইসিটি’র প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, এনডিসি. বলেন, “বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের জন্য ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০’ চালু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বিভিন্ন ধরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রতিযোগিতাটি ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যেসব মেধাবী তরুণরা উঠে আসবে তারাই সামনের দিনে বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে নেতৃত্ব দিবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য হুয়াওয়েকেও ধন্যবাদ জানাই।’

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়াং গুয়োবিং বলেন, বর্তমান যুগে যেকোন খাত ও অর্থনীতির মূল ভিত্তিই হলো ডিজিটাল অবকাঠামো। এই নতুন, ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব ও দেশের প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে তরুণদের আইসিটি দক্ষতা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ, যাতে করে তারা এ খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রস্তুত হতে পারে। আমাদের এই প্রোগ্রামটি তরুণদের আইসিটি খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে আইসিটি ডিভিশনের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রতিযোগিতার মূলত দু’টি অংশ রয়েছে। একটি হলো ‘প্র্যাকটিক্যাল কম্পিটিশন’ এবং অন্যটি ‘থিওরিটিক্যাল কম্পিটিশন’। এগুলো শুধুমাত্র বেসিক থিওরিটিক্যাল বিষয়গুলো বুঝতে ও ব্যবহারিক বিষয়গুলো বুঝতেই সাহায্য করবে না, পাশাপাশি ইনোভেশন টেকনোলজি অ্যাপ্লিকেশন ও প্রোগ্রাম ডিজাইনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। চলতি বছর এই প্রোগ্রামটিতে নেটওয়ার্ক সুইচিং ও রাউটিং টেকনিক্যাল বিষয়গুলোও তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি, বিগ ডাটা, এআই ও ক্লাউড (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এর মতো বিষয়গুলো সম্পর্কেও অংশগ্রহণকারীদের ধারণা দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব আগামী মাসে শুরু হবে। এ পর্বে নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে নির্ধারিত ওয়েব পোর্টাল থেকে অনলাইন কোর্স করতে হবে। প্রথম রাউন্ড থেকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ২০জন প্রতিযোগী অনলাইন লার্নিং ও পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবেন।

দ্বিতীয় পর্বে তাদের পরীক্ষার পাশাপাশি এইচসিআইএ (হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট) থেকে অনলাইন কোর্স করতে হবে। দ্বিতীয় পর্ব থেকে সেরা ১০ দল জাতীয় পর্যায়ে ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হবে। ফাইনালে প্রতি দলে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনজন শিক্ষার্থী ও একজন ফ্যাকাল্টি থাকবেন। প্রধান কার্যালয় থেকে প্রশিক্ষকগণ অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন, যাদেরকে সিমুলেশন টেস্টে পাস করতে হবে। এবং এর থেকে সেরা তিন দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয় অথবা এর বিভাগগুলোকে [email protected]এ ই-মেইল করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে। আর শিক্ষার্থীগণ হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/HuaweiTechBD) রেজিস্ট্রেশন লিংক থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন।

গত মাসে চারটি ভিন্ন প্রোগ্রাম চালুর জন্য বিসিসি ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করে হুয়াওয়ে। এগুলো হলো: ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০’, ‘আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার’, ‘হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি’ ও ‘কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্ট আপ’। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০ প্রথম শুরু হবে। হুয়াওয়ের আইসিটি কম্পিটিশন বিশ্বের ৩০টিরও অধিক দেশে পরিচালিত হচ্ছে; যেখানে ৪৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ও ৮শ’রও বেশি অ্যাকাডেমি থেকে ১৬শর’ও অধিক প্রশিক্ষক অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশে আইসিটি ট্যালেন্ট তৈরি এবং এই খাতে উদ্ভাবন নিয়ে আসার জন্য চারটি বিশেষ প্রোগ্রামের মধ্যে প্রথম প্রোগ্রাম বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন ২০২০ আয়োজনের প্রধান দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বাকি প্রোগ্রামগুলো হলো: ‘আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার’, ‘হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি’ ও ‘কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্টআপ’।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech