বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বসন্ত-ভালোবাসায় মেতেছে রাজধানী

বসন্ত-ভালোবাসায় মেতেছে রাজধানী

শীতের জীর্ণতা সরিয়ে, গাছে গাছে কচি পাতা আর তাতে মৃদু হাওয়ার ঝিরিঝিরি কাঁপন জানিয়ে দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে। আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। প্রতি বছর এই দিনটিকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় দেশবাসী। গত বছর থেকে পহেলা ফাল্গুনে যোগ হয়েছে নতুন আমেজ। বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার করায় পহেলা ফাল্গুন অর্থাৎ বসন্তের প্রথম দিনেই হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। ১৪ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বের সাথে এই দিনটি পালন করে থাকে বাঙালি। দুটি উৎসব এক সাথে পেয়ে যেনো বাড়তি আনন্দ এসেছে নাগরিক জীবনে।

করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা ভাটা পড়লেও থেমে নেই উৎসবের উচ্ছ্বাস। দিনের শুরুতে রাজধানীর জনসমাগম স্থানগুলোতে উৎসব প্রিয় মানুষের উপস্থিত কম থাকলে বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের বাড়তে থাকে। তরুণ-তরুণীর উপস্থিত বেশি থাকলেও সকল বয়সের মানুষের ভিড় ছিল। প্রিয় মানুষের সাথে ঘুরতে বের হয়েছে উৎসব প্রিয় মানুষ। তাছাড়াও পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠী, সহকর্মীদের সাথে ঘুরতে এসেছেন। ধানমন্ডি লেক, হাতিরঝিল, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বরসহ জনসমাগম স্থানগুলোতে ছিল চোখে পড়ার মত ভিড়।


বেসরকারি চাকরি করেন বেলাল আহমেদ, পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বলেন, আজ পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ উপলক্ষে অনেক দিন পর কোন উৎসব পালন করতে পরিবার নিয়ে বের হয়েছি। করোনার কারণে প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া হয় না। করোনা যেহেতু এখনো আছে তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।

উৎসবের সাথে মিলিয়ে ছেলেরা পাঞ্জাবি আর মেয়েদের দেখা যায় লাল, হলুদ ও বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়েছেন। চোখে কাজল, হাতে বাহারি রঙের রেশমি চুড়ি, কপালে টিপ আর খোঁপায় গোঁজা নানা ফুলের মালা। হাতে বিভিন্ন ফুল দেখা গেলেও গোলাপ ফুল প্রায় সবার হাতে হাতে জায়গা করে নিয়েছে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবিন ফারহানা বলেন, বসন্তের প্রথম দিন। প্রতিবছরই এই দিনটি পালন করে থাকি। তাছাড়া আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও। ভার্সিটি বন্ধ থাকায় আমার অনেক বন্ধু ঢাকার বাইরে রয়েছে। যারা ঢাকায আছে তাদের সাথে দেখা হবে। সারাদিন বন্ধবীদের সাথে কাটাবো, রাতে পরিবারের সাথে কাটবো।

দেশের সবচেয়ে বড় বসন্ত উৎসবের আয়োজন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের প্রাঙ্গণে। প্রতি বছর বসন্ত ঋতুকে স্বাগত জানাতে পহেলা ফাল্গুন “বসন্ত বরণ” উৎসব পালন করে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছর “বসন্ত বরণ” উৎসবটি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এবার জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ চারুকলার পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে এ উৎসবের আয়োজন করে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে ‘বসন্ত উৎসব’। আজ বিকেল ৪টায় একাডেমির নন্দন মঞ্চে আলোচনা সভা দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠানটি।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech