আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী বন্দর ও নওমালা নগরের হাট এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পৃথক ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছন।
এর মধ্যে মো. শাহিন মৃধা (৪০), মো. সুজন মৃধা (২৬) ও মো. শাহিনকে (৩০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাব্বি তালুকদার (২৫), মিরাজ তালুকদার (২৪), মো. সাহাবুদ্দিন (৩৫) ও মো. শাওনকে (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার ও গত শনিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশের) সদস্য মো. সেলিম মৃধার নেতৃত্বে দেড় শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর বের হয়। বহরটি কালিশুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কালিশুরী বন্দর এলাকায় পৌঁছালে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার উদ্দিন ওরফে জামাল সিকদারের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এতে রাব্বি তালুকদার, মিরাজ তালুকদার, সুজন মৃধা, মো. শাহিন, মো. সাহাবুদ্দিন, মো. শাওনসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
সেলিম মৃধা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ঘটনায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দায়ী করে বক্তব্য দেন।
এদিকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বর্তমান নওমালা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা হাওলাদার এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এতে মো. রুবেল (২৮), মো. কামাল (৩০), আফজাল সরদার (৩১), মো. কবির মৃধা (৩৫), শাহিন মৃধা (৪০), মো. রুমনসহ (২৫) দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহজাদা ও কামালের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। দুই পক্ষের মধ্যে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে নগরের হাট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদাকে লক্ষ করে কামালের কয়েক সমর্থক গালাগাল করে।
খবর পেয়ে শাহজাদার কর্মী-সমর্থকেরা গালাগালের প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার জেরে রাত সাড়ে আটটার দিকে বাহালিকান্দা এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদার সমর্থক মো. মিজান মৃধার (৩৫) ঘরে হামলা চালায় কামালের সমর্থকেরা।
ওই সময় ঘরের আসবাব ভেঙে ফেলা হয় ও লুটপাট করা হয়। একপর্যায়ে মিজানের দেড় বছরের শিশু পুত্রকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে মিজানের বড় ভাই মো. শাহিন অচেতন হয়ে পড়ে যান।
তিনি বাঁ হাত ও বাঁ পা নড়াচড়া করাতে পারছেন না। তাঁকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনায় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘এলাকায় আতিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে কালিশুরী ও নওমালা এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) মো. মোস্তাফজিুর রহমান বলনে,‘এলাকায় আতপিত্য বস্তিারকে কন্দ্রেকরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। র্বতমানে কালশিুরী ও নওমালা এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হব।