আজ ভয়াল ১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতীর কলঙ্কময় দিন। আজ এই দিনে জাতি হারিয়েছে তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীকে।
বাংলাদেশটা স্বাধীন হবার পিছনে যে ব্যক্তিটির অবদান অপরিসীম, যিনি না থাকলে হয়তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ তার ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। আজ ১৫ আগস্ট সকাল ৮ টায় বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বার পিপিএম, বরিশাল মেট্টাে পলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাব উদ্দিন খাঁন বিপিএম (বার), বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানসহ সরকারি-বেসরকারি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সকাল ১০ টায় অশ্বিনী কুমার হলে আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করেন বরিশাল জেলা প্রশাসন। বরিশাল সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় রক্তদান কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ।
আলোচনা সভার শুরুতে জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ডকুমেন্টারি প্রদর্শন শেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমাদের বঙ্গবন্ধু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে ১৫ আগস্ট সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে অতিথিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বার পিপিএম, বিএমপি পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাব উদ্দিন খাঁন বিপিএম (বার), বরিশাল পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিজন, এসএম ইকবাল, বীরপ্রতীক কেএস মহিউদ্দীন মানিক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, মোখলেছুর রহমানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিষেশে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন পোর্ট রোড জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা শাহিদুর রহমান কাসেমী।
জোহরের নামাজের শেষে সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।