পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরের দিকে জোড়া লাগা অবস্থায় জমজ শিশুর জন্ম দেন রেখা বেগম (১৮)। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে জমজ শিশুর চিকিৎসা করাতে পারছেন না দরিদ্র পিতা বশির সিকদার। প্রসূতি বর্তমানে সুস্থ থাকলেও জোড়া লাগা জমজ শিশুদের স্ক্যানুতে রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা জানান, কনজয়েন্ট বেবী এবং প্রিম্যাচিওর। মাত্র ৩২ সপ্তাহে এই জমজ বাচ্চা প্রসব করানো হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় অভিভাবক রাজী হননি। এই বাচ্চার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন যা পটুয়াখালীতে সম্ভব না।
দেখা গেছে, যমজ দুই শিশুর পেটের নিচ থেকে জোড়া লাগানো। শিশু দুইটির হাত, পা ও হৃদপি- আলাদা। তবে তাদের প্রসাব ও পায়খানার রাস্তা নেই। জটিল চিকিৎসার ব্যয়ভার আর অস্ত্রপাচারের জটিলতা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় রাজী হননি পিতা বশির সিকদার।
শিশুর বাবা বশির সিকদার বলেন, “অর্থাভাবে আমার শিশুর উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। ডা. বলেছে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা”
পটুয়াখালী সিটিজেন হেল্থ কমপ্লেক্সের ডা. মিঠুন চন্দ্র বলেন, দুটি কারনে জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম হয় প্রথম কারণ, জিনগত বা বংশগত কারণে অথবা ঔষধের কারণে। যমজ শিশু জন্ম নেয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, বংশগত কারণ। তবে এই শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার পটুয়াখালীতে হবে না।