মহিপুর -কুয়াকাটা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ বস্তা সরকারি ত্রাণের চাল জব্দ করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। বুধবার বিকাল ৩ টায় মৎস্যবন্দর আলীপুরের লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এ ঘটনা
ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায় , ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লার ভায়রা ইদ্রিস হাওলাদারের বাসায় অভিযান চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করা হয়।এসময় ইদ্রিস হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মহিপুর থানার পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান জানান,লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানের ভায়রা ইদ্রিস হাওলাদারের বাসায় ত্রাণের চাল রয়েছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ বস্তা চালসহ তিনটি ড্রামে ভরা দেড় ’শ কেজি চাল উদ্ধার করেছে।
এ প্রসংঙ্গে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি জনের ১২০ কেজি করে তিন নামের ভিজিডির চালসহ ১জন জেলে কার্ডের চাল ছাড়িয়ে ইদ্রিস হাওলাদার বাসায় রেখেছে।
কে বা কারা রেখেছে এ প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ইদ্রিস হাওলাদারের আত্মীয়দের নামের তালিকার চাল।
তবে ইদ্রিস হাওলাদারের জানিয়েছেন, তার তিন আত্মীয় যথাক্রমে মোসা. ছালমা বেগম, মোসা. সাথী বেগম ও মোসা. কুলসুম বেগমের চাল রয়েছে তার বাসায়।
ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় কুলসুম বেগমের নাম পাওয়া যায়নি। তবে ৩ জনের নামে ৩৬০ কেজি চাল বরাদ্দ থাকলেও ইদ্রিস হাওলাদারের বাসা থেকে ৪৫০ কেজি চাল জব্দ
করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোঃ শহীদুল হক এবং লতাচপলী ইউনিয়ন পরিষদের তদারকি কর্মকর্তা কলাপাড়া উপজেলা ফ্যামিলি প্লানিং অফিসার
ইলিয়াস খান রানা বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তদারকি কর্মকর্তা ইলিয়াস খান রানা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের স্টক রেজিষ্ট্রারের সাথে চাল বিতরণের মিল রয়েছে।
বাস্তবে কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার
ইউনিয়ন পরিষদে পরিদর্শনকালে বলেন, পুলিশ ত্রাণের কিছু চাল একজনের বাসা থেকে জব্দ করেছে শুনে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য এসেছি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ৯ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ইদ্রিস হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিপুর থানায় আনা হয়েছে।