বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

পটুয়াখালীতে জেলেদের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ

পটুয়াখালীতে জেলেদের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ

পটুয়াখালীতে প্রান্তিক জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আলতাফ হাওলাদার একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি। গতকাল বৃহস্পতিবার চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রকাশ হলে বিক্ষোভে ফেটে পরে সুবিধাভোগী জেলে ও এলাকাবাসী। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের একটি দল ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

চালের বস্তার সাথে স্টক মিলিয়ে ১৩ বস্তা চাল কম পেয়েছেন বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতি। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের ৪৫০ জন জেলের জন্য ৩৬ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত চাল বুধবার বিকালে পটুয়াখালীর খাদ্য গুদাম থেকে ছাড় করে ট্রলারে নিয়ে ভুতুমিয়া লঞ্চঘাটে পৌঁছায়। কিন্তু পথিমধ্যে ৩৫ বস্তা চাল সরিয়ে বাকি চাল নিয়ে লঞ্চঘাটে ট্রলার নোঙ্গর করে রাখা হয়। চাল আত্মসাতের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লঞ্চঘাট এলাকায় বিক্ষোভ চলতে থাকে এবং আস্তে আস্তে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এসময় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ বিক্ষুব্ধ হয়ে চাল চোরের শ্লোগান দিয়ে বিচারের দাবিও জানায়। বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরীকে অবহিত করা হয়।

পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি, সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ শাহীন মাহমুদ, ট্যাগ অফিসার সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার এবং সদর থানা পুলিশের এসআই দিপায়ন বড়ালসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরে উদ্ভুত পরিস্থিতি শান্ত করে তাৎক্ষণিক তদন্ত চালিয়ে ১৩ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হাওলাদার ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম দিন ট্রলারে জায়গা না থাকায় অতিরিক্ত ৩৫ বস্তা গোডাউনে রেখে আসছি। পর দিন তা গোডাউন থেকে নিয়ে আসতেছি। তদন্তে ১৩ বস্তা চাল কম পাওয়ায় পর চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গরীবের চাল নিয়ে কেউ দুর্নীতির আশ্রয় নিলে তাকে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech