নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণে ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা।
যা নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উত্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকার মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি খাতে ৫১৯ কোটি টাকা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ৮১৪ কোটি এবং স্কিম ৪৪ কোটি টাকা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৬৭৯ কোটি টাকা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ হাজার ৩২২ কোটি টাকা ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয় মন্ত্রণালয়ের আওতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৪০২ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে সর্বাধিক দারিদ্রপ্রবণ ১১২টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী দরিদ্রপ্রবণ ব্যক্তিকে শতভাগ বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে শতভাগ বয়স্ক মানুষকে অতি উচ্চ ও উচ্চ দারিদ্রভুক্ত গ্রুপের আওতায় ১৫০টি উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এতে আট লাখ জন নতুন উপকারভোগী যোগ হবেন এবং এ খাতে ৪৮১ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এছাড়া, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীকে শতভাগ ভাতা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো ও প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার কথা জানান মন্ত্রী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পেশ শুরু করেন।