রাজধানীর মিরপুর সেকশন-৭ এ চলন্তিকার মোড়ে অগ্নিকাণ্ডে বস্তির প্রায় সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ ঘর পুড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় তিন হাজার পরিবার। এখন সার্চিং চলছে। আগুনের ঘটনায় কেউ নিখোঁজ কিংবা চাপা পড়ে রয়েছে কি-না তা তল্লাশি করে দেখা হচ্ছে।
শনিবার সকাল ১১টায় অগ্নিকাণ্ডস্থলে এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, এখানে আমাদের তিনটি ইউনিট সার্চিং এ কাজ করছে। বস্তিতে লাগা ভয়াবহ আগুন সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুরোপুরি নির্বাপিত হয় রাত দেড়টার দিকে।
তিনি আরও বলেন, বস্তির অধিকাংশ ঘর টিনশেড কাঁচা ঘর হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। এখন পর্যন্ত আগুনে আহত চারজন। তারা হলেন, কবির (৩৫), হাবিব (১৯), রফিক ও শরিফ। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কেউই দগ্ধ কিংবা গুরুতর আহত হননি।
এর আগে রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরুণ কান্তি শিকদার বলেছেন, আপনারা জানেন ৭টা ২২ মিনিটে আগুন লাগে। ৭টা ২৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আসছে। আগুনের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও জানান তিনি।
রাতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মিরপুরের রূপনগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সুচিকিৎসা, আহার ও বাসস্থানসহ সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এ মুহূর্তে প্রথম কাজ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে কেউ আগুন লাগিয়ে নাশকতা করেছে, এমনটা মনে হচ্ছে না।
মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই এ বস্তিবাসীর জন্য বাউনিয়া বাঁধে ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছেন। তাদের সেখানে যাওয়ার কথা।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা প্রদান করা অন্যতম কাজ। তাছাড়া যাদের ঘর-বাড়ি পুড়ে গেছে, তারা জানেন না এখন বা আগামীকাল তারা কি খাবেন, কোথায় থাকবেন। ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর জন্য চিকিৎসা, আহার, বাসস্থান সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে সিটি কর্পোরেশন।