বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

এবার অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে পরীমণির বিরুদ্ধে জিডি

এবার অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে পরীমণির বিরুদ্ধে জিডি

পরীমণির বিরুদ্ধে ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি জিডি দায়ের করেছে অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমণিকাণ্ডের পর আরও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। নিয়ম ভেঙে কয়েকটি সোশ্যাল ক্লাবে মধ্যরাতে এই নায়িকার যাতায়াত ও মদ্যপানের খোঁজ-খবর করছে পুলিশ।

এরইমধ্যে বনানী থানা পুলিশ গুলশানের একটি অভিজাত ক্লাবের বার বয়ের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি অভিজাত ক্লাবের কর্মকর্তারা পুলিশকে জানিয়েছেন, মধ্যরাতে নিয়ম ভেঙে পরীমণির জন্য বার খোলা রাখতে হয়। তারা পুলিশকে বলছেন মদের আসড় বসানোর গল্পও।

জানা গেছে, বোট ক্লাবকাণ্ডের আগের রাতে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবের দলবল নিয়ে ঢুকেন পরীমণি। মধ্যরাতে সেখানে তিনি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার তদন্তে বুধবার সন্ধ্যায় গুলশান থানা পুলিশ সেখানে যাচ্ছে।

 

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৮ জুন বুধবার রাতে বোট ক্লাব কান্ডের তদন্তে নেমে কেচো খুঁড়তে সাপ বেরুচ্ছে। তার ব্যাপারে জানাতে ঢাকার একাধিক সোশ্যাল ক্লাবের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।

তারা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, পরীমণি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন যুবক-যুবতী নিয়ে প্রায়রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে মদ পান করতেন মধ্যরাত পর্যন্ত। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পরে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না কখনোই। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে।

গুলশান পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত ৩ জুন রাত ১২টার পর পরীমণি, তার সাবেক স্বামী তামিম হাসান ও দু’টি বেসরকারি টেলিভিশনের দু’জন কর্মকর্তা পরিচয়ধারীকে নিয়ে গুলশানের একটি অভিজাত ক্লাবে যান। তখন তারা মদ্যপ ছিলেন। ক্লাবে ঢুকে পরীমণি ও অন্যরা বার ব্যবহার করতে চান। বার বয় জালাল এতে অসম্মতি জানালে পরীমণি তার গালে  চড় মারেন। ক্লাব কর্মকর্তারা বেসামাল আচারণের প্রতিবাদ করলে তিনি নিজেই পুলিশে কল করেন। গুলশান থানা পুলিশের দু’টি পিকআপ ভ্যান সেখানে যায়।

পরে তারা বুঝিয়ে পরীমণিকে বাসায় পাঠান। এ খবর পুলিশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সীমানা ঘেষা এলাকা হওয়ায় গতকাল বুধবার বনানী থানা পুলিশ ওই ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বার বয় জালালের কাছ থেকে সেই রাতের ঘটনা জানতে চায়। ক্লাবটির সদস্য (প্রশাসন) এজন্য পুলিশের কাছে সময় চেয়েছেন বলে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech