বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে জন্ম নেয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এই রাজনৈতিক দল। মহামারি করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে ক্ষমতামীন দল আওয়ামী লীগ।
মহামারি করোনার মধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে কী কী থাকছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ২৩ জুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হবে এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সবই ভার্চুয়ালি হবে। তবে ওইদিন দলের পক্ষ থেকে সকাল ৯টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দলের তৃণমূল পর্যায়েও মহামারির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পর্যায়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে বলা হয়েছে। করোনার কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আগের মতো হবে না। কিন্তু আমরা চেষ্টা করবো- একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা, মহানগর, নগরে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। আলোকসজ্জা থেকে আরম্ভ করে যতটুকু সম্ভব। সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে আমরা তা উদযাপন করবো।
গেল প্রতি বছর গুলোতে ২২ জুন রাত ১২টা ১ মিনিটে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন শুরু হতো। এরপর সকালে সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হতো। পাশাপাশি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় সভাপতিসহ অন্যরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতেন। এ ছাড়া আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা হতো। কিন্তু এবার মহামারির জন্য দলের সব কর্মসূচিই সীমিত করা হয়েছে।