বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখেই টিকা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার

শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখেই টিকা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখে করোনার (কোভিড-১৯) টিকার দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। তবে এই সেবা সবার জন্য নয়। শুধু গ্রাম ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোর নাগরিকরা এ সুবিধা পাবেন।

শুক্রবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাশার খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, ‘টিকাদান পদ্ধতি সহজ করার চিন্তা করছে সরকার। গ্রাম এলাকায় যারা নিবন্ধন করতে পারছেন না, তারা এনআইডি কার্ড দেখিয়ে বা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করে টিকা নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে ভাবছে সরকার।’

শুক্রবার রাজধানীতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালী গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

১৪ দিনের লকডাউনের ফলের বিষয়ে আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখনো তেমন ফল আমরা দেখছি না। সাধারণত তিন থেকে চারদিন পর এর ফল দেখা যায়। তবে সীমান্ত এলাকায় আগের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে।’

স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি হাসপাতাল তিনটি পরিদর্শন করার সময় জেনেছি- রোগীদের শতকরা ৯৭ ভাগ করোনার টিকাগ্রহণ করেননি। তাদের অধিকাংশের বয়স ৫০ বছরের বেশি। টিকা না নেওয়ার ব্যাপারে রোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন- কেউ টিকা নিতে ভয় পেয়েছেন, আবার কেউ অবহলো করে টিকা নেননি। এমনকি কেউ কেউ শুরুতে চিকিৎসাও নেননি।’

তিনি বলেন, ‘কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি সংকটাপন্ন রোগীদের ৯৭ শতাংশ ঢাকার বাইরের। করোনা রোগীর চাপ সামাল দিতে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ঢাকার বাইরের রোগীদের জন্য বিভিন্ন জেলায় ফিল্ড হাসপাতাল করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

‘গ্রাম পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। গ্রামের মানুষদের অন্যান্য টিকা যেভাবে দেওয়া হয়, সেভাবেই করোনা টিকা দেয়া যায় কি না এ বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা করছে। যদি এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়, তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড দেখেই টিকা নেওয়া সম্ভব হবে, নিবন্ধনের প্রয়োজন হবে না।’

খুরশীদ আলম বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগী টিকা নিতে চাইছেন না। এমনকি অনেক নার্স ও স্বাস্থ্যসেবী এখনো টিকা নেননি। এটা খুবই দুঃখজনক। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কম।’

করোনার টিকা নেওয়ার বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৮ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech