বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে তৃতীয় ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭-৮ গাঙচিলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির নতুন এই উড়োজাহাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী ফ্লাইটে আবুধাবির উদ্দেশে রওনা হবে গাঙচিল। ১৫তম বিমান হিসেবে তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার গত ২৫ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে যুক্ত হয়। ২৫ জুলাই বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে অবস্থিত বোয়িং ফ্যাক্টরি থেকে থেকে সরাসরি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় বিমানটি ।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী সব ক’টি ড্রিমলাইনারের নামকরণ করেন।
‘আকাশবীণা’ নামের প্রথম বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে আসে। ‘হংসবলাকা’ নামের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি করে।
ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, ২টি ৭৩৭-৮০০ এবং ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার।
সূত্র জানায়, ‘রাজহংস’ নামের চতুর্থ ড্রিমলাইনারটি আগামী মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত হবে। ২৭১ আসনের বোয়িং ৭৮৭-৮ গাঙচিল ড্রিমলাইনারটি অন্য বিমানের তুলনায় জ্বালানি-সাশ্রয়ী করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ঘণ্টায় গড়ে ৬৫০ মাইল বেগে বিরতিহীনভাবে ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম।
অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। ফলে যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন।