কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৫ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের বাবলাতলা বাজারের ডিলার নূরুল হুদার বিরুদ্ধে চাল বিতরনে এভাবে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবারে প্রত্যেক দুই জনকে ৫০ কেজির এক বস্তা করে চাল দেয়া হয়েছে। অথচ ৩০ কেজি চালের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। দরিদ্র মানুষ এসব ডিলারের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সরকার কলাপাড়ায় ২০ হাজার ১৫৩ দরিদ্র পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এনেছে। যারা ১০ টাকা কেজি দরে বছরের পাঁচ মাস ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। এ জন্য ৩২ জন ডিলার রয়েছে। চলতি মাসে এখন এই কার্ডধারীদের চাল বিতরণ চলছে।
সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার এই চাল বিতরনের কথা। এই তালিকা নিয়ে রয়েছে অন্তহীন অভিযোগ। রয়েছে বিত্তবানের নাম। এমনকি ইতোপূর্বে মৃত মানুষের নামেও চাল বিতরণ দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওই ডিলারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শুধু কার্ড বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখন আবার চাল কম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাবলাতলা বাজারের ডিলার নুরুল হুদার ৫২০ কার্ডধারী দরিদ্র মানুষকে চাল বিতরণের কথা। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক দরিদ্র কার্ডধারী জানান, তাদের দুই জনকে ৫০ কেজির এক বস্তা চাল দেয়া হয়েছে। ওই বস্তায় আবার ৫০ কেজিরও কম রয়েছে চাল। অথচ ডিলারের লোক টাকা নিয়েছে দুই জনের কাছ থেকে ৬০ কেজির। এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেক ডিলারের চাল বিতরণ সংক্রান্ত একজন করে তদারকি কর্মকর্তা রয়েছে।
যা কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। তারা যথাযথভাবে তদারকি করেন না। ডিলার নুরুল হূদা জানান, তিনি চাল কম দেন না। গোডাউন থেকে আনা ৫০ কেজির বস্তায় আধা কেজি এক কেজি কম থাকে। পাঁচ জনকে তিন বস্তা দিলেও ওই কমের কারণে এক কেজি আধা কেজি কম পায়। এখানে তার করার কি আছে বলে পাল্টা প্রশ্ন করেন। অথচ এ ডিলারের নামে দুই জনকে ৫০ কেজি চালের একটি বস্তা দেয়ার এন্তার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সরকারের ভাবর্মূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। কলাপাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ নুরুল্লাহ বলেন, তিনিও এ সংক্রান্ত অভিযোগ শুনেছেন। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খাদ্য কর্মকর্তাকে বলেছেন। তিনিও বিষয়টি গুরুত্বেও সঙ্গে দেখছেন।