ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বরিশাল থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নদী বন্দরে এসে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। এ সময় লঞ্চ বন্ধের খবরে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, তাদের অনেকে দুপুরে লঞ্চ ঘাটে পৌঁছান। কিন্তু সন্ধ্যার পর তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় লঞ্চ ছাড়বে না। অথচ দুপুরে বা বিকেলে জানিয়ে দিলে তাদের এ দুর্ভোগে পড়তে হতো না।
শনিবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে রাজধানী মুখী ছয়টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনটি লঞ্চ ঘাট থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বাকি তিনটি ঘাটে নোঙর করা থাকলেও তা যথাসময়ে (রাত পৌনে ৯টা) ছেড়ে যায়নি।
নিজাম শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করায় প্রতি ট্রিপে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার জ্বালানী খরচ বেশি হচ্ছে। কিন্তু সরকার ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার সহসভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করলেও ভাড়া পুনর্নির্ধারণ না করায় শনিবার দুপুর ২টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লঞ্চ মালিক সমিতি গত শুক্রবার ভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এ অবস্থায় মালিক সমিতি লোকসানের আশঙ্কায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।