বরিশালের মুলাদী উপজেলার দক্ষিণ কজিরচর এলাকা থেকে সুলতান নাসির উদ্দিন (৩৯) নামে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। সুলতান নাসির উদ্দিন ওই এলাকার মো. হযরত আলীর ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে বরিশালে র্যাব-৮ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন সুলতান নাসির উদ্দিন নিজের পেশার আড়ালে যুবকদের কাছে গোপনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডের দাওয়াত দিয়ে আসছেন। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির দাওয়াতি শাখার একজন সদস্য। এর প্রেক্ষিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কজিরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
র্যাবের জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি স্বীকার করেছেন তিনি জেএমবির দাওয়াতি শাখার একজন সদস্য।
র্যাব আরও জানায় গেছে সুলতান নাসির উদ্দিন ১৯৯৬ সালে পেদ্দার হাট ওয়াদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৮ সালে বরিশাল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর সেলায়েই (দর্জি) কাজের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ওষুধ কোম্পানি, গাড়ির শোরুম, বায়িং হাউজ ও ব্রোকার হাউজে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন।
২০১০ সালের ঢাকায় থাকাকালীন জসীমউদ্দীন রহমানির ওয়াজ শুনে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হন। এরপর তার সঙ্গে দেখা করে। পরে দাওয়াতি কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সফর করেন। এ সময় একই মনোভাবাপন্ন আরও কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হলে তিনি জেএবমির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ২০১৫ সালে থেকে তারিকুল ইসলাম সাকিবসহ জেএমবির অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ওই সময় থেকে তিনি অনেকের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে গোপনে বৈঠক করেন এবং জেএমবি কার্যক্রম তথা সশস্ত্র উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হন।