শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম সিটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বরত ছিলেন।
এর আগে, গেল ৩রা অক্টোবর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে দলের ‘স্বার্থ পরিপন্থী’ কর্মকাণ্ড ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এ শোকজ করা হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীর আলম। যা গোপনে রেকর্ড করে একজন অনলাইনে প্রকাশ করার পর সেই অডিও ভাইরাল হয়। এরপর মেয়র জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ হয় গাজীপুরে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম সরকার গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একটি এডিটেড ভিডিও বের করেছে। পরে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এমনকি এটি কিছু সংবাদ মাধ্যমও প্রকাশও করেছে।
সে সময় তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ একটি শোকজ দিয়ে আমার কাছে ঘটনা জানতে চেয়েছে। আমি যথা সময়ে এর জবাব দেব।