স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় একজনও মারা যাননি এই ভাইরাসে। তবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯ জনে।
একই সময়ে এই মহামারি ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯০ জন রোগী। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬ জন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (কোভিড ইউনিট) ডা. মো. ইউনুস সই করা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ১০৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার ৬৬২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানো হয় একই বছরের ১৮ই মার্চ।
এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে। তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। গত আগস্টের প্রথম দিকে করোনার গণটিকা দেওয়া শুরু হয়। এরপর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।