বুধবার সন্ধ্যার পর সংবাদ মাধ্যমের কাছে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মাহমুদউল্লাহর অবসরের ঘোষণা জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এক বিবৃতিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, আমি অনেক দিন ধরেই খেলেছি এমন একটা ফরম্যাটকে বিদায় বলা সহজ নয়। আমি সবসময়ই সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছাতে চেয়েছি। আমার বিশ্বাস টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার এটাই সঠিক সময়। আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বিসিবি সভাপতির প্রতি যিনি আমি টেস্ট দলে ফেরার পর সমর্থন দিয়েছেন। আমার সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য এবং আমার সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার জন্য।
জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে সতীর্থদের অবসরের বিষয়ে জানিয়েছিলেন রিয়াদ। তবে এ বিষয়ে কোন ঘোষণা তিনি দেননি। অবশেষে তার চার মাস পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিক বিদায় বললেন টাইগারদের টি টোয়েন্টি অধিনায়ক।
গেল জুলাইয়ে মাঠ থেকেই ক্রিকেটের আভিজাত ফরম্যাটকে গুডবাই জানান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সতীর্থরা তাকে দিলেন গার্ড অব অনার। ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তামিম, মুশফিকরা।
কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের বিষয়ে মিডিয়ার প্রশ্ন প্রতিবারই এড়িয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। পরিস্কার করেননি অবসরের বিষয়টা। অবশেষে চার মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটের বনেদি ফর্মেটকে বিদায় বলে দিলেন রিয়াদ।
২০২০ এর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরের পর টেস্ট পরিকল্পনা থেকেই মাহমুদউল্লাকে ছেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এমন কি সাদা পোশাকের জন্য তিনি ফিট নন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন হেডকোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
রিয়াদ মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন জেদ। এ বছর হারারে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েই যেন প্রতিজ্ঞা করে বসেছিলেন। নিজের পঞ্চাশতম টেস্ট ম্যাচে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস। ফুরিয়ে যাননি প্রমাণ দিয়েই ঐ টেস্টের মাঝ পথে সাদা পোশাক থেকে সরে যাবার কথা জানান সতীর্থদের।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টোনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। টাইগার জার্সিতে কতটা কার্যকরি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে দেয় তা। ৫০ ম্যাচে ৩৩ এর উপর গড়ে ঝুলিতে রান ২৯১৪। যা বাংলাদেশের ষষ্ঠ সেরা। সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন ৫টা। শেষ ৪ শতক আবার গেল তিন বছরে। বোলিংয়ে এখন পর্যন্ত ৪৩ উইকেটও আছে মাহমুদউল্লাহর।