বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম একথা জানান।
তিনি বলেন, বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে না তা সড়ক বিভাগও জানে। সড়ক বন্ধ করে কোনও সমাধান আসবে না। আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে বাস মালিকদেরে অনুরোধ করেছি। শিক্ষার্থীদের বিষয়ে সরকার আন্তরিক। ছাড় দেয়া উচিৎ সেটা সড়ক বিভাগও মনে করে। শিক্ষার্থীরা বাসে হাফ ভাড়া নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের এই দাবিটি আমরা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি। এ বিষয়ে সবার মতামত প্রয়োজন। মালিকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে জানাবেন, কতটা ভাড়া তারা কমাতে পারবেন শিক্ষার্থীদের জন্য। রাষ্ট্রায়াত্ব পরিবহন বিআরটিসি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়া কমাবে। কতটা কমাবে তা শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, গণপরিবহন বেসরকারিখাত। সরকার মালিকদের চাপ দিতে পারে না। সরকার চাপ দিয়ে একটি ভাড়া নির্ধারণ করে দিলে, বাস মালিকরা গাড়ি বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে ভোগান্তি আরও বাড়বে। সরকার শিক্ষার্থীদের এ দাবির প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে বলেই আজ বৈঠকে অংশীজনদের নিয়ে বসেছি। বেসরকারি বাসে অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা চাপিয়ে দিতে পারি না। কারণ বাসে কত শতাংশ ভাড়া ছাড় দিতে হবে আমরা আজ সেই সিদ্ধান্ত দেয়ার পর বাস মালিকরা ধর্মঘট ডাকতে পারেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিবহন মালিক সমিতিকে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে একটি যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ প্রস্তাব আমাদের কাছে দেবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে বলা হয়েছে, তারাও তাদের একটি প্রস্তাব আমাদের কাছে দেবেন। সব পক্ষ দ্রুত প্রস্তাব জমা দেবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বিকেলে হাফ ভাড়ার বিষয়ে বিআরটিএ’তে পরিবহন মালিক নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক ফেডারেশন, পুলিশের প্রতিনিধি, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। এছাড়াও সভায় অংশ নিয়েছেন পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা।