নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নাগরিকত্বসহ চারটি শর্ত দিয়েছেন রোহিঙ্গারা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের নয়াবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও আরকানা রোহিঙ্গা সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নাগরিকত্ব দেওয়া, জমিজমা ও ভিটেমাটির দখল এবং সেদেশে ক্যাম্পে যে এক লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে তাদের বাসস্থানে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, এই চার শর্ত মানলে আমরা মিয়ানমারে ফেরত যাব। শর্ত মানলে আমরা আজই সেখানে যাব। আমরা সবসময়ই রাজি আছি। তবে শর্ত না মানলে যাব না।
সৈয়দ উল্লাহ দাবি করেন, তিনি ৯০ ভাগ রোহিঙ্গার দাবি উপস্থাপন করেছেন। এ সময় চারটি ক্যাম্পের দলনেতা, ইমাম ও সোসাইটির সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও ক্যাম্পের চেয়ারম্যানরা ছিলেন না।
বৃহস্পতিবারই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে দুপুর পর্যন্ত তাদের অনাগ্রহের কারণে তা শুরু করা যায়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, সাক্ষাৎকার দেওয়া রোহিঙ্গাদের কেউই মিয়ানমারে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছিল। রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় তখনন কাউকেই রাখাইনে পাঠানো সম্ভব হয়নি।