গৌরনদী (বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত মঙ্গলবার বিকেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম নামের এক ভূয়া এমবিবিএস চিকিৎসককে গ্রেফতার করে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে।
একই আদালত ওই ভূয়া চিকিৎসককে চেম্বার করার সুযোগ করে দেয়ার অপরাধে উপজেলার টরকী বন্দর সদর রোডের আনোয়ারা মেডিকেল হল এর মালিক মোঃ শহিদুল হোসেনকে গ্রেফতার করে নগদ ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়ে তা আদায়ের পর তাকে ছেড়ে দেয়।
উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রেফতারকৃতদেরকে এ দন্ড দেন।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গৌরনদী উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার টরকী বন্দর সদর রোডের আনোয়ারা মেডিকেল হল নামের একটি ঔষধের ফার্মেসীতে অভিযান চালান। এ সময় ফার্মেসীর ভেতরে চেম্বার করে বসে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করতে থাকা ওই প্রতারককে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, এমবিবিএস চিকিৎসক সেজে বসা ওই ভূয়া চিকিৎসক এর নাম মোঃ রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি শেরপুর সদর থানার নলবাইক গ্রামে। সে ওই গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল ওয়াহেদ এর ছেলে। আমরা ওই ভূয়া চিকিৎসকের ব্যাবস্থাপত্রে ব্যাবহৃত এমবিবিএস চিকিৎসক পবিচয় দেয়ার প্রমান পেয়েছি। ওই প্রতাবক নিজের নামের শুরুতে ডাঃ শব্দ যুক্ত করে ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম এমবিবিএস (ময়মনশিংহ) মা ও শিশু, সাবেক রেজিষ্টার কমিউনিটি বেইজড হাসপাতাল ময়মনশিংহ পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে গৌরনদী উপজেলার ঘোষের হাট, বাকাই বাজার ও টরকী বন্দরে চেম্বার করে চিকিৎসার নামে প্রতারনা করে আসছিল। তাই তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় সে নিজেকে ভারত থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত একজন প্যারামেডিক চিকিৎসক বলে দাবি করলেও তার স্বপক্ষেও সে প্রমান বা সনদ দেখাতে পারেনি।