বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

ঝালকাঠিতে চেয়ারম্যানের পরিবারের বিরুদ্ধে কিশোরী নির্যাতনের অভিযোগ

ঝালকাঠিতে চেয়ারম্যানের পরিবারের বিরুদ্ধে কিশোরী নির্যাতনের অভিযোগ

ঝালকাঠির রাজাপুরে নারী ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার ও তার ছোট ভাইসহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার সাদিয়া আক্তার (১৭) এ অভিযোগ করেন।

ঘটনার বিচার ও থানায় মামলা নেওয়ার জন্য আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর থানায় গেলে মামলা না নিয়ে ওই কিশোরীকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।

অভিযোগকারী সাদিয়া আক্তার বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার গাওলা গ্রামের মৃত সারফরাজ সিকাদারের মেয়ে। ওই কিশোরী নিজেকে রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারের ছোট ভাই আহাদ হোসেন মিরাজের (২৮) স্ত্রী বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে সে রাজাপুর প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেছে।

কিশোরী সাদিয়া আক্তার জানায়, ২০১৯ সালের মে মাসে রাজাপুরের শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারের ছোট ভাই আহাদ হোসেন মিরাজের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। হঠাৎ করে সাদিয়া জানতে পারে, তার স্বামীর সঙ্গে একাধিক মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক আছে। এর প্রতিবাদ করায় স্বামী মিরাজসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন সাদিয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। জোর করে তার গর্ভের সন্তানও নষ্ট করা হয়। আর এই সব নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার। পরে সাদিয়াকে খুলনায় তার ফুপুর বাসায় দিয়ে যায় মিরাজ। পরে সে জানতে পারে তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছে। তাকে গত ১৭ই নভেম্বর তালাক নোটিশ পাঠায় মিরাজ। তালাকের নোটিশ পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাজাপুর আসে সাদিয়া, তার চাচা এনায়েত সিকদার ও ফুপু সুরাইয়া খানম। এ ঘটনা জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার ও তার ভাই মিরাজ লোকজন পাঠিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদিয়ার স্বামী আহাদ হোসেন মিরাজ জানান, সাদিয়ার সঙ্গে অন্য একজনের সম্পর্ক রয়েছে। বিষটি জানার পরে আমি তাকে তালাক দিয়েছি। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি।

শুক্তগড় ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার বলেন, আমি ভাইয়ের বউ হিসেবে সাদিয়াকে সব সময় ভালবেসেছি। ওদের দাম্পত্য কলহের মধ্যেও সাদিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছি। আমার ধারণা, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সমাজে আমার সম্মানহানি করতে তাকে দিয়ে এই অপপ্রচার করছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় বলেন, মেয়েটি থানায় এসে মামলা করতে চেয়েছে, কিন্তু ঘটনাস্থল বরিশালে। সে থাকে খুলনায়। তাই তাকে বরিশাল অথবা খুলনায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech