জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে বুধাবর বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বসেন। এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে জাসদ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে এখনও আইন না থাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ এ কমিশন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।
সংলাপ শেষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ ভালো, তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য আইন প্রণয়ন প্রয়োজন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সরকারকে পরামর্শ দেয়ার অনুরোধ করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধান কমিটিতে জাসদের পক্ষ থেকে কোনও নাম প্রস্তাব করা হয়নি। তবে সার্চ কমিটিতে নারী ও শিক্ষক রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির এই সংলাপে অংশ না নিয়েই অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করে বিএনপি প্রমাণ করেছে, অতীতে নির্বাচন বানচাল করার মতোই নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগকেও বানচাল করতে চায় দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল হিসেবে রয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। এর আগে, সোমবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে প্রথম অংশ নেয় জাতীয় পার্টি। অল্প সময়ে আইন করা সম্ভব না হলে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনসহ তিন দফা প্রস্তাব দেয় দলটি।
সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬শে ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সঙলাপে যোগ দেবে।
পরে ২৭শে ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিশ, ২৮শে ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, ২৯শে ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে।
প্রসঙ্গত, কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান ইসির মেয়াদ ১৪ই ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সংবিধান অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন। ওই কমিশনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।