প্রতি বছরই ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারা দেশের স্কুলগুলোতে সমাপনী পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন সংশ্লিষ্টরা। করোনা পরবর্তী সময়ে এবারও অল্প সময়েই শেষ হয়েছে বিভিন্ন স্কুলের সমাপনী এবং ভর্তির লটারি। নতুন শিক্ষাবর্ষ ভালোভাবে শুরু করতে মাউশি অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির কাজ ৩০শে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে।
তবে অভিভাবকরা করোনা পরবর্তী সময় বিবেচনা করে এই সময়সীমা কিছুটা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, অনেক স্কুলে ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে টিসি চাচ্ছে। এগুলো নিতে আমাদের কিন্তু আলাদ করে টাকা দিতে হচ্ছে। সব বাবা-মা’ই চায় তার সন্তানদের ভালো স্কুলে ভর্তি করাতে।
মাউশির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও স্কুলগুলো কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে মনে করেন শিক্ষকরা।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার বলেন, যে ডেডলাইনটা দেয়া হয়েছে তা অনেক অভিভাবকদের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। কারণ করোনার ফলে অনেকেই আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়েছেন। অনেক অভিভাবকই কম বেতন, যেতে যাতায়াত খরচ কমসহ অনেক কিছু বিবেচনা করেই স্কুল খুঁজছেন। সেক্ষেত্রে তাদের ভর্তির ডেডলাইনটা ফলো করা কষ্টের হয়ে যায়।
এই সময় আর বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাউশি মহাপরিচালক। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু বিষয় সমন্বয় করতে পারবে বলে জানান তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, এই সময়টা আরও বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি এখনো। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত যে সময়সীমা রয়েছে এরমধ্যেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে হবে। যদি কোন শিক্ষার্থীর বিশেষ কোন সমস্যা থাকে সেটা লোকালি সমাধান করতে পারবে এটার জন্য সময়সীমা বাড়ানোর কোন দরকার আছে বলে মনে করি না। যদি কোন স্কুল অন্যায়ভাবে বেশি ফি নিয়ে থাকে তাহলে যে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করতে পারবে।
আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য সারাদেশের ৩ হাজার তিনশ ৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০ লাখ ২০ হাজার ৯শ’ ৬৭টি আসনের জন্য ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির আবেদন জমা পড়ে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৮শ’ ২১টি।