পটুয়াখালীর মহিপুর থানা এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন বাড়ির মালিক পল্লি চিকিৎসক সুকদেব সৈদ্দাল। ডাকাতরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বাড়ির সবাইকে মারধর করে নগদ তিন লাখ টাকা ও পাঁচ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে পুলিশ বলছে, ডাকাতির নাটক সাজানো হয়েছে। শনিবার রাতে লতাচাপালী ইউনিয়নের পৌরগোজা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সুকদেব সৈদ্দাল (৫০) বলেন, রাতের খাবার খেয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ২টার দিকে আমার স্ত্রী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে ডাকাতরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমাকে লোহার রড দিয়ে পেটায়। এরপর আমার কাছ থেকে চাবি নিয়ে নগদ তিন লাখ টাকা, পাঁচ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং সোনা ভেবে রাঁধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি নিয়ে চলে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার ঘর থেকে তিন লাখ দুই হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ঘরে আলাদা আলাদা জায়গায় টাকা থাকে। ডাকাতরা তিন লাখ টাকা পেয়ে নিয়ে গেছে। বাকি টাকা খুঁজে পায়নি। সেগুলো পুলিশ খুঁছে পেয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দুলাল সিকদার বলেন, আমি সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি অনেক লোকজন উপস্থিত। সুকদেব ডাক্তারের মুখে ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। ডাকাতির আলামত দেখেছি। সত্য মিথ্যা বলতে পারব না।
এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, রাতে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টহলে থাকা পুলিশ পাঠাই। পরে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করি। পরিবারের একজনের বক্তব্যের সঙ্গে অন্যজনের বক্তব্যের মিল না পেয়ে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে দুটি মোবাইল এবং আলাদা আলাদা জায়গা থেকে তিন লাখ দুই হাজার পেয়েছি। আমার কাছে সাজানো নাটক মনে হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি একজন পল্লি চিকিৎসক। তার কাছে অনেকগুলো ওষুধ কোম্পানি টাকা পাবে এবং আশপাশের লোকজন তার ঘরে টাকা গচ্ছিত রাখে। তার ঘরে পাওয়া টাকা তাকে ফেরত দিয়েছি। মোবাইল দুটি আমি নিয়ে এসেছি, তদন্ত করে বিস্তারিত জানাব।