খেলাধুলা প্রতিবেদক:
শেষ পর্যন্ত কে হাসবেন শিরোপার হাসি, বরিশালের সাকিব নাকি কুমিল্লার মুস্তাফিজ। ফাইনালে এই দুই তারকার দিকেই তাকিয়ে থাকবে তাদের দল। এই দুই দেশীয় তারকাই শুধু নন, অভিজ্ঞতা বলছে ফাইনালের স্পটলাইট কেড়ে নিতে পারেন বরিশালের ডোয়াইন ব্রাভো কিংবা কুমিল্লার ফ্যাফ দুপ্লেসিরা।
আসরের শুরু থেকেই নজর কেড়েছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে তার রান ২৭৭। গড়টা ৩০এর উপর। তিন ফিফটি বরিশাল কাপ্তানের নামের পাশে, স্ট্রাইকরেটটা ১৪৫ এর বেশি। বল হাতে সাকিবের শিকার টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট। ইকোনোমিটাও পাচের একটু বেশি। মেগা ফাইনালে তাই সবার নজরে থাকবেন সেরাদের সেরা সাকিব আল হাসান।
ফরচুন বরিশালের হয়ে দুর্দান্দ ছন্দে ডিজে ব্রাভো। ব্যাট হাতে যতটা উজ্জ্বল এই ক্যারিবিয় তারকা, তার চেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন বল হাতে। আসরে ৯ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট। যে কোন সময় খেলার মোড় ঘুড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে তার। ফাইনালে তাই আলাদা ভাবে নজর থাকবে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই ফেরিওয়ালার উপরও।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কনসিসটেন্ট পারফর্মার ফাফ ডু প্লেসি। ১০ ম্যাচে ২৯১ রান নিয়ে রয়েছেন টপ ফাইভে। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি, রয়েছে একটি হাফসেঞ্চুরিও। প্রোটিয়া এই ব্যাটারের গড়টা ৪২ এর কাছাকাছি। শুধু ডু প্লেসি নন বরিশালের আতঙ্কের কারণ হতে পারেন সুনিল নারিনও। সবশেষ চট্টগ্রামের বিপক্ষে এই ক্যারিবিয় ব্যাটার একাই গড়ে দিয়েছিলেন ম্যাচের ভাগ্য।
কুমিল্লার অন্যতম অস্ত্র মুস্তাফিজ। টুর্নামেন্ট জুড়ে বল হাতে কাটার মাস্টার ছিলেন প্রতিপক্ষের জন্য মুর্তিমান আতঙ্ক। ১০ ম্যাচে তার ঝুলিতে সবোর্চ্চ ১৮ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২৭ রানে ৫ উইকেট। পাওয়ার প্লে-কিংবা ডেথ ওভার, কুমিল্লার আস্থার নাম দা ফিজ। ফাইনালে হতে পারেন কুমিল্লার ট্রাম্প কার্ড।