বরিশাল: পটুয়াখালীর দুমকিতে দু’গৃহস্তের বাড়িতে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে চুরি সংঘঠিত হয়েছে। সংবদ্ধ চোরচক্র কৌশলে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে বসত:ঘরের দরজা খুলে নগদ টাকা, স্বণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
গত রবি ও সোমবার গভীর রাতে উপজেলার রাজাখালী ও বাদুয়া শ্রীরামপুর গ্রামে পর পর দুই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই দু’পরিবারের অজ্ঞান হওয়া অন্তত: ৮জনকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ২জনকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার রাজাখালী গ্রামে রবিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সালামের মেঝভাই আবুল কালাম ও তার পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে প্রতিবেশী ও স্বজনরা ঘরের দরজা খোলা এবং সবাইকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওই বাসার তরকারি খেয়ে পাশের বাসার ঢাকা ফেরত দু’জন মেহমানও অচেতন হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সালাম জানান, চোরের দল খাবারের সাথে অচেতন করার ঔষধ খাইয়ে সোমবার রাতে বাদুয়া শ্রীরামপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলী খার বাড়িতে রূপালী ব্যাংককর্মচারি আল-আমীনের বসত:ঘরের সবাইকে অচেতন করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের উৎপাতে এলাকাবাসীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিরাতেই চোরেরদল কোন না কোন স্থানে হানা দিচ্ছে। থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এলাকাবাসীরা পুলিশি টহল জোড়দারের দাবি করেছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলেন, মৌখিক ভাবে চুরির খবর শুনেছি। তবে এখনও এব্যাপারে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক পদক্ষেপ নেয়া হবে।