বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

মাছ এবং মুরগীর সমন্বিত চাষ করে স্বাবলম্বী লালমোহনের আব্দুল মালেক মাকসুদুর রহমান পারভেজ

মাছ এবং মুরগীর সমন্বিত চাষ করে স্বাবলম্বী লালমোহনের আব্দুল মালেক মাকসুদুর রহমান পারভেজ

লালমোহন (ভোলা):
মাছ এবং মুরগীর সমন্বিত চাষ করে স্বাবলম্বী দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বচরউমেদ গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে হাজী আব্দুল মালেক । তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যে,তিনি নিজেই। বর্তমানে তিনি মাছ চাষের পাশা পাশি লেয়ার মুরগীর খামার করে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই সফল । বর্তমানে তিনি সুনামের সহিত আলোড়ন সৃষ্টি কারী সফল ব্যবসায়ী । একই সাথে পুকুরের পানিতে সমন্বিত মাছ চাষ করছেন তিনি। সরেজমিনে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় তাদের পরিবারে অনেক অভাব অনটন ছিল । এরপর সেই অভাব দূর করার জন্য নিজ উদ্যোগে ১৯৯০ ইং সালে স্থানীয় পুকুর মালীকদের কাছ থেকে ৫/৭ টি পুকুর লিজ (লগ্নি) নিয়ে রেনু পোনার (মাছের বাচ্ছার) ব্যবসা শুরু করেন । অনেক চড়ই উৎরাই লাভ লোকসান পেরিয়ে তিনি নিজ উদ্যোগে ৪০ শতাংস জমিন ক্রয় করে নিজের জমিতে মাছের খামার মাচের চাষ শুরু করেন । এরপর ধীরে ধীরে তার সফলতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করে । ২০২২ সাল পর্যন্ত তার ব্যবসায়িক টাকা দিয়ে ১৩ একর জমিতে মাছ ও মুরগীর খামার করেছেন । তিনি সমন্বিত মাছ ও লেয়ার মুরগীর চাষ করছেন । ১৩ একর জমিতে ৪টি করে বিশালাকার মাছ ও মুরগীর খামার রয়েছে । খামারে মুরগী হয়েছে প্রায় ৯/১০ হাজার। পাশাপাশি খামারগুলো মাচা দিয়ে পানির উপর হওয়ায় মুরগীর বিষ্ঠা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে মাছ চাষে । এতে মাছের জন্য আলাদা খাদ্যের প্রয়োজন কম হয়। বর্তমানে তার খামারে ৯/১০ হাজার মুরগি রয়েছে । আবার পুকুরে রয়েছে অর্ধ কোটি টাকার মাছ। ইতোমধ্যে তার খামারে কর্মসংস্থান করছেন দৈনিক ২০/২৫ জন লোক । তাঁর সাফল্যে অনুপ্রানিত করেছে তার প্রতিবেশি মো . জাকির মাতাব্বর কে ও । জাকির মাতাব্বরের রয়েছে মাতাব্বর পল্ট্রী ও মৎস্য নামক খামার । তার ও রয়েছে মুরগী ও মাছের সমন্বিত চাষ । হাজী আব্দুল মালেক বলেন, মুরগী গুলোর গন্ধ কম দৈনিক ৪/৫ হাজার ডিম দিচ্ছেন । মাছ এবং মুরগী মিলিয়ে মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় হচ্ছে এখন তবে বর্তমানে মাছ ও মুরগীর খাদ্যের দাম বাড়ার কারনে আয় কমে গিয়েছে এখন । শ্রমিকের বেতন ও বেড়েছে। তিনি বলেন সরকারিভাবে যদি কোন সহযোগীতা পাই অথবা বিভিন্ন এনজিও থেকে স্বল্প সুদে ঋন পাই তাহলে সব কিছু পুশিয়ে আরও লাভবান হতে পারব । আব্দুল মালেক আরও বলেন মুরগীর বিষ্ঠার হালকা একটু গন্ধ নাকে আসার আগেই পরিস্কার করা হয় । তার খামার গুলোতে নানা জাতের মাছ খলবলিয়ে বেড়াচ্ছেন যা চোখে পরার মতো । বিশেষ করে মাগুর এবং তেলাপিয়া মাছের উৎপাত আনন্দ বয়ে আনে । তিনি জানান, তাঁর খামারে এখন ২০/২৫ জন স্থায়ী কর্মী দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন । কথা হয় মুরগীর ও মাছের খামারের কর্মী মিলন , আ: সহিদ ও মনির সহ কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মুরগীকে খাবার দিচ্ছেন এবং কেউ কেউ মুরগীর পরিচর্যা করছেন। তাদের মধ্যে মনির নামে একজন জানিয়েছেন যে, তিনি ৫ বছর ধরে খামারে কাজ করেন, প্রথমে তার অনেক অভাব ছিল তারপর থেকে আস্তে আস্তে তার বেতন ও বাড়তে থাকে। এখন তার পরিবার স্বচ্ছল।

লালমোহন উপজলো প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাছির উদ্দিন মুন্সির কাছে খামার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন , এ উপজেলায় আমি নতুন জয়েন্ট হয়েছি কোন খামার সম্পর্কে আমার কাছে কোন তথ্য জানা নেই ।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech