এরপর উদ্ধার হওয়া বনবিড়ালটি আজ শনিবার বিকেলে ভোলার বাঘমারা এলাকার গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করা হয়।
ভোলা বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ভোলার ৩৪.৫ মেগাওয়াট রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত সদস্যরা বনবিড়ালটিকে মেশিন রুমে দেখতে পায়। এ সময় সবাই মিলে বিড়ালটি আটক করে বন বিভাগের খবর দেয়।
পরে বন বিভাগের কর্মীরা বনবিড়ালটিকে উদ্ধার করে সদর উপজেলার বাঘমারা এলাকার গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করে। তবে বিপন্ন প্রজাতির এ বনবিড়ালটি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসেছিল বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাওয়ার প্লান্ট থেকে আরো একটি বনবিড়াল উদ্ধার করে বনবিভাগ।
ছোট পাখি, ইঁদুর, ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণীসহ গৃহপালিত হাঁস-মুরগি বনবিড়ালের খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত। এদের জীবনকাল ১৪ বছর। এই বিড়াল বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, ইসরায়েল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ভুটান, জর্জিয়া, লাওস, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, মিসর, ইরাক, ইরান প্রভৃতি দেশে দেখা যায়।