লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি :
ভোলার লালমোহনের বদরপুরে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে শিক্ষককে জুতোপেটা করার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১টায় লালমোহন প্রেসক্লাবে শিক্ষকের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রবিবার সকালে মোবাইলে কল করে ‘দেবীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এর প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেনকে মিথ্যে অভিযোগ তুলে হুমকি দেয় বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ মেলকারের ছেলে রাসেল মেলকার। পরে ফোন দিয়ে দেবীরচর বাজারে ডেকে নেয় স্থানীয় কবির হাওলাদার এবং বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে ওই শিক্ষককে জুতোপেটা করে কবির, চেয়ারম্যানের ভাগ্নে রুবেল, ভাতিজা মাইনুদ্দিনসহ আরও কয়েকজন। শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিক্ষকের উপরে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। এসময় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শওকত আলী হেলাল,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম ও রেহানা আক্তারসহ আরও নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বুধবার বিকেল ৪টায় নিজের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেন, বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে মোঃ রাসেল মেলকার।
লিখিত বক্তব্যে রাসেল মেলকার বলেন, দেবীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেনের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তবে মিথ্যে ঘটনা সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আমি ও আমার স্বজনদেরকে জড়িয়ে বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নের্তৃবৃন্দরা। স্থানীয় একটি মহল সমাজে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এসময় ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এদিকে বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ মেলকার বলেন, আমি পরিষদের মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমার ছেলে রাসেলও অন্য কাজে ছিল। তবে ঝামেলার কথা শুনে ফোনে ওই শিক্ষকের খোঁজ খবর নিয়েছিল রাসেল। এখন মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রীমহল।