বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

সাংসদ হাজী সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

সাংসদ হাজী সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে নিম্ন আদালতে। সকালে নিম্ন আদালতে তার সাজা বহালের যে রায় পৌঁছেছে তাতে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে সকালে রায়ের এ কপি পাঠানো হয় নিম্ন আদালতে। হাজী সেলিম যদি আত্মসমর্পণ না করেন, তাহলে আইনের দৃষ্টিতে তাকে পলাতক হিসেবে গণ্য করা হবে বলে জানান দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, এ রায়ের ফলে সংসদ সদস্য থাকার যোগ্যতা নেই হাজী সেলিমের।

এর আগে, ২০২১ সালের ৯ই মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখে হাইকোর্ট। তবে তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান তিনি।

আদালত তার রায়ে জরিমানার টাকা অনাদায়ে হাজী মো. সেলিমকে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। আত্মসমর্পণ না করলে জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করতে রায়ে নির্দেশ দেয়া হয়।

এছাড়াও এই মামলায় হাজী সেলিমের জব্দ কৃত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়। তবে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে একই মামলায় বিচারিক আদালতের দেয় ৩ বছরের কারাদণ্ড থেকে হাজী সেলিমকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টে হাজী সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির​।

জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

পরে ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেয়।

হাইকোর্টের কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে দুদক। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এরপর শুনানি শেষে রায় দেন হাইকোর্ট।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech