বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমুদ্র বিলাস

কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমুদ্র বিলাস

দক্ষিণা বাতাস। কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি। সাগরের জোয়ের সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক ঢেউ সৈকতে এসে আঁছড়ে পরছে। আর আকাশের মেঘের গর্জনে জানান দিচ্ছে বর্ষার আগমনের। রোদে তপ্ত হওয়ায় হাজারো পর্যটক আড্ডায় মুখোরিত ঝাউবাগানসহ বন-বনানী। এ যেন প্রকৃতি আর পর্যটকের নীবিড় সেতুবন্ধন। যে সকল পর্যটক কুয়াকাটায় শীত মৌসুমে বেড়াতে এসেছেন, তাদের কাছে বর্ষার সমুদ্র বিলাস আলাদা অনুভূতি। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে পর্যটকদের সমুদ্রে গোসল ও সাতার কাটতে মাইকিং করে সচেতন করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। কিন্তু এমন সচেনতায়ও আগত পর্যটকরা বিচলিত হচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগত পর্যটকরা শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির লেক, রাখাইন পল্লী, ঝাউবন, লেম্বুর বন, লাল কাকড়ার চর, তিন নদীর মোহনা, কুয়াকাটার কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়ার সীমা বৌদ্ধ বিহারসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পট এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। বর্ষার আগমনী শুরু হওয়ায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিকের জোয়ারের চেয়ে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢেউ এসে আছঁড়ে পরছে সৈকতের ভূ-ভাগে। এমন রুদ্র মূর্তি দেখে কেউ কেউ ভয়ে সমুদ্রে নামছে না। আবার অনেক এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটক ও দর্শনার্থীরা সমুদ্রের এমন দৃশ্য দেখে খুশি।

কুয়াকাটার সৈকত ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সমুদ্রে গোসল, হই হুল্লোড়, ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আনন্দ উল্লাস ও উম্মাদনায় মেতে ওঠে নানা বয়সের পর্যটকরা। সাতার কাটা, ওয়াটার বাইকে ঘুরে বেড়ানো, ঢেউয়ের সাথে গাঁ ভাসিয়ে দিয়ে সৈকতে গড়াগড়ি খাচ্ছে পর্যটকরা। এমন ছন্দময় সময়কে স্বরণীয় করে রাখতে অনেকেই ফটোগ্রাফার দিয়ে ছবি তুলছে। কেউ কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ ও প্রকৃতি উপভোগ করছে। আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পায়রা সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত হলে কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের চিত্র পাল্টে যাবে। আর ব্যাপক সমাগম ঘটবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের এমনটাই জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটক নাহিদুল স্ত্রী ও ছোট সন্তান নিয়ে কুয়াকাটা ভ্রমণে এসেছেন। বর্ষার সমুদ্র এবং উত্তাল ঢেউ দেখে মুগ্ধ তারা। শীতের সমুদ্র এবং বর্ষার সমুদ্রের রুপ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার মতে সমুদ্রের রুপ উপভোগ করতে হলে বর্ষা মৌসুমেই আসা উচিত।

আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, মৌসুমের শেষে ছুটির দিনে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। তার হোটেলের অধিকাংশ রুমই বুক রয়েছে। তবে শীত মৌসুমের চেয়ে অনেক কম ভাড়ায় রুম বুকিং দিয়েছেন তিনি। এতে পর্যটকরাও খুশি বলে জানান এই হোটেল মালিক।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় তারা সার্বক্ষণিক সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। উত্তাল সমুদ্রে গোসল, সাতার কাটতে গিয়ে যেন কোন দুর্ঘটনায় না পরে সেদিকেও খেয়াল রাখছেন তারা। পাশাপাশি দুর্ঘটনা রোধে স্পীড বোট ও ওয়াটার বাইক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে বারবার সচেতন করা হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech