ক্রীড়া প্রতিবেদক:
বিসিবি সভাপতি আর ধর্মঘটে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে গত পরশু রাতের ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার পরদিন থেকেই শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। ক্রিকেট বোর্ডের এই বিভাগ থেকে সেই বিভাগে ফাইল চালাচালি ও নানা প্রস্তাবনা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা কাল পার করেছেন বেশ ব্যস্ততম দিনই। যার ‘ফল’ও দৃশ্যমান হয়ে যাওয়ার কথা দু-এক দিনের মধ্যেই। তবে ক্রিকেটারদের সব দাবিই একসঙ্গে নয়, ধাপে ধাপে মানার প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে অগ্রাধিকার তালিকাও। তাতে আপাতত সবার ওপরেই আছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ম্যাচ ফি বাড়ানোর বিষয়টি। সেই সঙ্গে লক্ষ করা গেছে সব শেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্রিকেটারদের বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধের তৎপরতাও।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গত সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকেও সেটি নিশ্চিত করেছেন, ‘দাবি-দাওয়া মানার ক্ষেত্রে আমরা এগোচ্ছি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। একটি একটি করে কাজ করছি আমরা। অগ্রাধিকার তালিকায় আপাতত যে বিষয়গুলো আছে, তার মধ্যে ব্রাদার্সের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের বিষয়টিও রয়েছে।’ তাঁর কথায় শিগগিরই জুনায়েদ সিদ্দীকদের পাওনা বুঝে পাওয়ার আভাস। আগামীকাল থেকে এনসিএলের তৃতীয় রাউন্ড শুরুর দিনই আসতে পারে ক্রিকেটারদের জন্য আরেকটি সুখবরও। সেটি দুই স্তরের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ও দৈনিক ভাতা বাড়ার।
সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলা হয়েছিল দ্রুতই প্রস্তাবনা তৈরি করে পাঠাতে। তা পাঠানোও হয়ে গেছে। ১৩ দফা দাবিতে ক্রিকেটাররা এক লাখ টাকা ম্যাচ ফি’র কথা বলেছিলেন। ঠিক অত না হলেও অঙ্কটি যথেষ্টই বাড়ছে। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এনসিএলের প্রথম স্তরের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ৬০ হাজার টাকা করা হচ্ছে দ্বিতীয় স্তরের জন্য, যা আগে ছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ২৫ হাজার।
সেই সঙ্গে মাত্র ১৫০০ টাকার দৈনিক ভাতা নিয়ে বিতর্ক চাপা দিতে অঙ্কটি দ্বিগুণও করে দেওয়া হচ্ছে। খেলোয়াড়দের চাহিদানুযায়ী এনসিএলের ক্রিকেটারদের বিমানে যাতায়াতের ব্যবস্থাও করে দিতে চলেছে বিসিবি। বিমান যাতায়াত করা যায়, এমন শহরে যাওয়া-আসার ফ্লাইটের টিকিট কেটে দেবে দেশীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাই। আর যেসব শহরে বিমানে যাওয়ার উপায় নেই, তাদের যাতায়াতেও সম্ভব সেরা ব্যবস্থাও করে দেবে বোর্ড। কাল সেসব নিয়ে উদ্যোগের কথা স্বীকার করলেও বিসিবি প্রধান নির্বাহী অবশ্য ম্যাচ ফি’র অঙ্ক জানাতে রাজি হননি, ‘ওই যে বললাম না, আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। এর মধ্যে ম্যাচ ফি’র বিষয়টিও খুব গুরুত্ব দিয়েই দেখছি আমরা। আশা করি শিগগিরই অগ্রগতির খবর আপনাদের দিতে পারব।’