ভোলার দৌলতখান উপজেলায় হঠাৎ ঝড়ে মাদ্রাসার ছাত্রাবাসসহ ৫টি বসত ঘর লণ্ডভন্ডণ্ড হয়েছে। এতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়ন ও ভোলার উপশহর বাংলাবাজার এলাকায় জামেয়া গাফরিয়া আসরাফুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্রাবাসসহ একই এলাকায় গাছ পড়ে ৫টি বসত ঘরের চাল উড়ে যায়। এ ছাড়াও উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক সংযোগ।
প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত খোজখবর নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জামেয়া গাফরিয়া আসরাফুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম ও মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাচালীন সময় হঠাৎ ঝড়ে মাদ্রাসার ক্লাস রুম, ছাত্রাবাস ও লাইব্রেরিসহ ৪টি ঘর ভেঙে যায়। এতে মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয় খোকন মুন্সী বলেন, ‘ঝড়ে মাদ্রাসার ৪টি টিনের ঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। মাদ্রাসার ছাত্রদের চিৎকারে আমরা এগিয়ে গিয়ে ভাঙ্গা মাদ্রাসার ঘড় থেকে তাদের উদ্ধার করি।
ঝড়ে গাছ পরে বসত ঘর দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একই ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের ইউনুস মিয়ার স্ত্রী বলেন, ‘বিলের থেকে কয়ডা মুগডাল তুলে ঘরে বইসা পরিষ্কার করতেছিলাম। হঠাৎ কালো মেঘ কইরা চারপাশ আন্দার হইয়া গেছে। সাথে সাথে বেমালা বাতাসের লগে ঘরের পাশের রেন্ডি গাছ ভাইঙ্গা ঘরের উপরে পড়ছে। এতে আমার ঘড়ডা ভাইঙ্গা তছনস হইয়া গেছে।’
এই ইউনিয়নে আরও ২টি ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘর ভাঙার কথা জানা গেছে।
এদিকে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৈফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, হঠাৎ ঝরে দৌলতখান উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় একটি মাদ্রাসার ও বেশ কিছু বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ক্ষতির পরিমান তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন তিনি।