কলাপাড়া ॥ আমার স্বামীর ঔরষে সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা নেই। ডাক্তারের পরীক্ষায় বলা হয়েছে। আমার স্বামী জাকির হোসেন সৌদি আরবে থাকাকালীন বিভিন্ন সময় আমার ব্যাংক একাউন্টে ১২ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। যার থেকে নিজে তিন লাখ ২৪ হাজার নিজে উত্তোলন করেছেন। দুই লাখ ৮৪ হাজার ভাই বাহাউদ্দিনকে দেয়া হয়েছে। জাকির হোসেনের নির্দেশে আরও কিছু টাকা তার আত্মীয় সজনকে দিয়েছেন। এভাবে ছয় লাখ ৫৮ হাজার টাকা নিয়ে জাকির হোসেন আত্মীয় স্বজন মিলে নিয়েছেন। বাকি ছয় লাখ ১৫ হাজার ছয় বছরে নিজের খোরপোষ, বাসা ভাড়া ও লেখাপড়ার জন্য খরচ হয়েছে। ৫৩ লাখ টাকার কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। স্বামীর গচ্ছিত কোন টাকা তার কাছে নেই। এমনসব পাল্টাঅভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন তরুণী নিঃসন্তান গৃহবধূ উম্মে হান্না লিয়া।
শুক্রবার রাতে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত অক্তব্যে লিয়া আরও বলেন, তিনি মাস্টার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অথচ তাকে আসামি করে স্বামী জাকির হোসেন একটি মামলা করেছেন। যেখানে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। যা মিথ্যা বলে দাবি করেন এ গৃহবধূ।
লিয়া জানান, ২০১২ সালে বালিয়াতলীর মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেনের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে হয়। তখন জাকির হোসেন সৌদি আরবে থাকত। ২০১৪ সালে দেশে ফিরলে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। স্বামী জাকিরের শারীরীক অক্ষমতার কারণে সম্পর্কের অবনতি হয় এবং তালাক প্রদান করেন বলে লিয়ার দাবি। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হুমকি দেয়া হচ্ছে মোবাইলে। তাকে খুন করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন লিয়া। এসময় লিয়ার বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে শারীরীক অক্ষমতার অভিযোগ ঠিক নয়। এটি একটি মিথ্যা কথা। টাকা আত্মসাতের যথাযথ প্রমাণ রয়েছে বলেই মামলা করেছেন। হুমকি-ধামকির অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। উল্টো তাকে অনেক কিছু লিয়া বলেছে বলে পাল্টাঅভিযোগ তোলেন।