মোকাম্মেল হক মিলন। ভোলা প্রতিনিধি। ।
ভোলার বোরহাউদ্দিনের মেঘনায় চরে মহিষ রাখার কিল্লার ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে তজুমদ্দিন উপজেলার চর মলংচরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের অংশেমেঘনায় জেগে ওটা দুর্গম জেলের চরে ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে। গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দৌলতখানের ২০ জন মহিষ মালিক ওই চরে মহিষ পালন করে আসছিল। এ ঘঁটনার পর থেকে আবুল কাসেম ও কবির নামে দুই রাখাল সহ শতাধিক মহিষ এখন পর্যন্তনিখোঁজ রয়েছে।
মহিষ মালিক দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন মসু ফরাজি, দুলাল ঘোষ, বশির মেম্বার, জাহাঙ্গীর শিকদার ও শাহাবুদ্দিন জানান, গত ১০ বছর পূর্বে বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের মেঘনার একটি অংশেএ চরটি জেগে উঠে। এরপর থেকে হাসান নগর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে ওই চরে কিল্লা তৈরি করে মহিষ পালন করে আসছিলেন দৌলতখানের ২০জন মহিষ মালিক। গত বছর তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুল হঠাৎ করে চরটি তার ইউনিয়নের অংশ দাবি করে আমাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ১২লাখ টাকা চাঁদা নেন। এ বছর ১২লাখ টাকার পরিবর্তে তিনি আমাদেরকে চর থেকে উচ্ছেদ করার জন্য ফের ২০ লাখ টাকা চাদা দাবি করেন। দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় রাতে তার লোকজন দিয়ে তজুমদ্দিন উপজেলার বাসিন্দা সোহেল পাটোয়ারী, জাকির মাল, জাকির হোসেন, রামগতি উপজেলার মিলন বেপারী, বাদশা, সোহাগ, সোহেল ও নুরনবী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিল্লায় হামলা করে ভাংচুর চালায়। এতে মহিষ রাখার ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কিল্লার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়্। এ সময় চরে থাকা সব মহিষ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। পরে ১ হাজার ১শ মহিষ চরে ফিরে এলেও দুইজন রাখাল ও বাচ্ছাসহ শতাধিক মহিষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কাঞ্চন মিয়া ওই চরটি হাসান নগর ইউনিয়নের বলে দাবী করেন। তজুমদ্দিন উপজেলার মলংচরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী সিকদার বাবুল বলেন, এ চরটি মলংচরা ইউনিয়নের সীমানায়। আমি মহিষ পালকদের চরে মহিষ পালতে দিয়েছি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মহিষের কিল্লাটি রাতে ঝরে ভেঙ্গে গেছে। এখন ওই চরে চাষাবাদ ও নদী সিকস্তীদের পুনর্বাসন করে দেওয়া হবে।