বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বিক্রি না হওয়ায় আমতলীতে ছাগলে চামড়া মাটির নীচে

বিক্রি না হওয়ায় আমতলীতে ছাগলে চামড়া মাটির নীচে

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
বিক্রি না হওয়ায় আমতলীতে ছাগলের ৬০ পিস চামড়া মাটির নীচে পুতে রাখা এবং গরুর চামড়া পানির দামে বিক্রি হয়েছে । এতে হতাশ এতিমখানার পরিচালক ও ব্যবসায়ীরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলায় অন্তত ৭ হাজার ৫’শ টি কোরবানীর পশু জবেহ দেয়া হয়েছে। বিক্রি না হওয়ায় ৬০ পিস ছাগলের চামড়া মাটির নীচে পুতে রাখা হয়। গরুর চামড়া পানির দামে বিক্রি করা হয়েছে। বড় সাইজের গরুর চামড়া ২৫০-৩০০ টাকা, মাঝাই সাইজের ১৫০-২০০ টাকা ও ছোট সাইজের গরুর চামলা ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছাগলের চামড়া বিক্রির খবর পাওয়া যায়নি। বিক্রি করতে না পারায় আমতলী এমদাদুল উলুম কওমী মাদ্রাসায় দানের পাওয়া ৬০ পিস চামড়া মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা ওমর ফারুক। নেয্য মুল্য না পেয়ে কোরবানী দাতারা গরুর চামড়া ভাগ করে খেয়ে ফেলেছেন। এতে হতাশ এতিম খানার পরিচালক ও ব্যবসায়ীরা। মাদ্রাসা পরিচালকদের অভিযোগ কোরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি করে সারা বছরের এতিমদের খাওয়া ও পোষাকাদির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু চামড়ার মুল্য না থাকায় নেই ব্যবস্থা আর হচ্ছে না।
তালতলীর গাবতলী গ্রামের মোঃ হানিফ হাওলাদার ও কবির আকন বলেন, ৭৫ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়ার কোন ক্রেতা পাইনি। তাই খেয়ে ফেলেছি।
আমতলী চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের জিয়া উদ্দিন জুয়েল বলেন, ক্রেতাতো পাইনি, এতিমরাও চামড়া নিতে আসেনি। তাই বাধ্য হয়ে রিক্সা ভাড়া করে গ্রামের ৭টি গরুর চামড়া এতিমখানায় দিয়ে এসেছি।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ৫৫ হাজার টাকার গরুর চামড়ার কোন ক্রেতা পাইনি।
আমতলী এমদাদুল উলুম কওমী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোঃ ওমর ফারুক বলেন, মানুষের দেয়া ১’শ ১৯ পিস গরুর চামড়া ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না পেয়ে ৬০ পিস মাটিতে পুতে রেখেছি।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech