বুধবারের (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য বলছে, রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি ৩২টি হাসপাতালে কোভিড নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ৩৬ জন। তার মধ্যে ২৭ জনই ষাটোর্ধ্ব আর বাকিরাও ভুগছেন কিডনি, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত নানা দীর্ঘমেয়াদি রোগ নিয়ে।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে আগের দুদিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের ইতিহাসও এমন ছিল বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
এক চিকিৎসক বলেন, আগে থেকেই অন্যান্য রোগে আক্রান্ত যেসব রোগী তারা কোভিড আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে তাদের নিয়ে আসছেন। কিছু কিছু রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, যাদের করোনার প্রভাবটা বেশি।
আরেক চিকিৎসক বলেন, টিকা নেয়ার পর কিন্তু তারা আক্রান্ত হয়েছেন, এ জন্য টিকা নেয়ার পরও কিন্তু ভাবার অবকাশ নেই যে, আবার কোভিড হবে না। সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কেএম শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, গত ১২ জুন যেখানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পাঁচ ছিল, ২৫ তারিখে ৫৮, ২৮ জুনে ছিল ৫৩। গত ৪ জুলাইয়ে ভর্তি হয় ৪৯ জন রোগী। ঈদের কারণে রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও আশঙ্কা কম নয়।
তিনি আরও বলেন, বেশির ভাগই দেখা যাচ্ছে করোনার সঙ্গে সঙ্গে অন্য রোগও যাদের আগে থেকে আছে তারা সিরিয়াস হচ্ছেন বেশি। করোনার আক্রান্ত হয়েও অনেকে শুরু থেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সিভিয়ার হওয়ার পর হাসপাতালে আসছেন।
তাইতো বিশেষজ্ঞরা বরাবরই একটাই কথা সবসময়ই বলছেন, করোনা রোধে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ইমেরিটাস অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, অন্তত আপনারা সবাই মাস্ক পরুন। এটা পরতেই হবে আমাদের। একমাত্র মাস্ককে আমরা বলি প্রথম ভ্যাকসিন। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আর যারা টিকা নেননি অবশ্যই তারা টিকা নিয়ে নেবেন।
করোনার চলমান এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সবাইকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার তাগিদ এ বিশেষজ্ঞর।