ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উদ্যোগী হয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল ব্যবহারে আরও বেশি সাশ্রয়ী হতে হবে।’
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ২৭ জন সরকারি কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় ও একটি ইউনিটের কাছে এ পদক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে—ক্ষমতা ভোগের বস্তু নয়। জনগণের সেবা করাটাই আমাদের কাজ। আমরা কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম, দেশের মানুষকে দিতে পারলাম সেটাই দেখার বিষয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চেষ্টা করেছি যে, আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থাটা এমনভাবে গড়ে উঠুক, যেটা গণমুখী হবে, জনসেবার হবে, জনগণের জন্য কাজ করবে। একটা রাষ্ট্রকে যদি উন্নত করতে হয়, তাহলে সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য স্থির করতে হয়।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দেশের সবার প্রতি একই আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষকে যার যার জায়গা থেকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা উন্নত বিশ্ব এ পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই সবাইকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে আমরা সংকট এড়িয়ে এগিয়ে যাব।’
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের জন্য হাহাকার, এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও হাহাকার দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ, মহামারি এবং যুদ্ধ চলছে। এ কারণে নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। একে তো করোনা মহামারি, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা চলছে, ইউরোপ দাবদাহে পুড়ছে, বন পুড়ে যাচ্ছে, বিমানবন্দরের পিচ গলে যাচ্ছে। এককথায় বিশ্বব্যাপী সংকট শুরু হয়েছে। কাজেই আমাদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।