বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বাঘ দিবস : আশার আলো দেখাচ্ছে সুন্দরবন

বাঘ দিবস : আশার আলো দেখাচ্ছে সুন্দরবন

ডেস্ক রিপোর্ট : 
আজ ২৯ জুলাই, আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। বাঘ রয়েছে, বিশ্বের এমন ১৩ দেশে এবার নানা আয়োজনে বাঘ দিবস পালন করা হচ্ছে। বাঘের অন্যতম আবাসস্থল সুন্দরবনের কোলঘেঁষা জেলা বাগেরহাটেও দিবসটি উপলক্ষ্যে বন বিভাগ নানা আয়োজন রেখেছে।

তবে, বন বিভাগ, সরকার, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মীদের নানা উদ্যোগেও বাঘের টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে সারা বিশ্বে। তবে, বিশ্ব বাঘ দিবসে বাঘপ্রেমীদের আশার আলো দেখাচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন-পূর্ব বন বিভাগ বলছে, সুন্দরবনে এবার বাঘ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

সুন্দরবন-পূর্ব বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপে বাঘ ছিল মাত্র ১১৪টি। এবার আবার গণনা শুরু হয়েছে।

এদিকে, ২০০১ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সুন্দরবনের অন্তত ৪৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আটটি বাঘের, বিভিন্ন সময় দুষ্কৃতকারীদের হাতে ১৩টি, লোকালয়ে আসায় জনগণের পিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচটি বাঘের, ২০০৯ সালে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় সিডরে মৃত্যু হয়েছে একটি বাঘের।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় চোরাশিকারিদের মেরে ফেলা ১৯টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। বন বিভাগের হিসাব অনুযায়ী—সর্বশেষ জরিপের পরে অন্তত আটটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, কতটি বাঘের জন্ম হয়েছে, সে তথ্য নেই বন বিভাগের কাছে। সে হিসাবে, বর্তমানে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ রয়েছে। তারপরও বন বিভাগ, বাঘ সংরক্ষণ ও সুন্দরবন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন বাঘ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বছর ১২ মার্চ সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ছিটা ককটা খালে একসঙ্গে চারটি বাঘের দেখা পেয়েছিলেন পর্যটকেরা। এর আগে ককটা খালে একসঙ্গে তিনটি বাঘ দেখা গিয়েছিল।

সুন্দরবন-পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বন বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে আমরা সুন্দরবনে টহল জোরদার করেছি। যার ফলে সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের তৎপরতা কমেছে। সর্বশেষ করোনা মহামারিতে একসঙ্গে দীর্ঘদিন দেওয়া লকডাউনে সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ ছিল। তখন সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি নিজেদের মতো করে বেড়ে উঠেছে।  এ সময়ে বাঘেরাও তাদের ইচ্ছেমতো বনে বিচরণ করেছে। তখন কয়েক বার মুকন্দগাঁত বনরক্ষীরা বাঘ দেখেছেন।’

আমাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম, প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রবেশ বন্ধ থাকায় সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি অনেক ভালোভাবে বেড়েছে। করোনা মহামারি থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক বার সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় বাঘ ও বাঘের বাচ্চা দেখেছেন বনরক্ষী, স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শণার্থীরা। এসব কারণে আমরা মনে করছি—সুন্দরবনে এবার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে’, যোগ করেন ডিএফও মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech