বিনোদন ডেস্ক :
খিজির হায়াত বলেন, ‘ওরা সাত জন’ একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘ওরা ১১ জন’। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর
মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরাগাঁথা নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের চেষ্টা করেছি। এতে দেখাতে চেয়েছি, বীর মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে যুদ্ধ করেছিল। তারা কীভাবে দেশপ্রেম বুকে ধারণ করে রণাঙ্গণে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
তিনি জানান, যদিও আমাদের এই চলচ্চিত্রটি মুক্তিযুদ্ধের একটি কাল্পনিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত, তবে এ গল্পটি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাজানো। আমি দেখাতে চেয়েছি, ১৯৭১ সালে সম্মুখসমরে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারাই সবার আগে ছিল। চলচ্চিত্রটি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বীরত্বগাঁথা কিংবা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখাপড়া করতে উৎসাহিত করলে আমাদের এই শ্রম স্বার্থকতা পাবে।
আগামী ডিসেম্বরেই চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে চাওয়ার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন খিজির হায়াত খান। মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টরে এলাকায় চলচ্চিত্রটির শুটিং করা হয়েছে।
পরিচালক আরও জানান, আমাদের সিনেমা ‘ওরা ৭ জন’ বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সরবোর্ড থেকে বিনা কর্তনে সেন্সর পেয়েছে। আসন্ন বিজয়ের মাসে সিনেমাটি সারা দেশব্যাপী মুক্তি দেয়ার ইচ্ছা আছে। নভেম্বরে আসবে ‘ওরা ৭ জন’ এর ট্রেলার। ইতিমধ্যে টিজার মুক্তি পেয়েছে।
টানা ৪০ দিন শুটিংয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘ওরা ৭ জন’-এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে গেল ডিসেম্বরে। ভিন্ন ভিন্ন পেশা থেকে আসা সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্প পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে এটিতে। এই সাতজনের একজন অভিনেতা ও নির্মাতা খিজির হায়াত খান নিজেই। এছাড়াও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন—ইন্তেখাব দিনার, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব, সাইফ খান, খালিদ মাহবুব তূর্য ও নাফিজ আহমেদ।
গল্পে তারা কেউ পুলিশ, কেউ চিকিৎসক, কেউ সামরিক বাহিনীর মেজর, কেউ-বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা সবাই একসময় দেশের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নেন। ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রযোজনায় সিনেমাটির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন খিজির হায়াত খান। সংগীতের দায়িত্বে ছিলেন নাজমুল আবেদীন আবির। এতে গান গেয়েছেন ব্যান্ড অসমাপ্ত। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্বে মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। সম্পাদনায় ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ বাবু।