স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। এই পদক্ষেপের ফলে মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অতিরিক্ত তহবিল এবং সরঞ্জাম ব্যবহারের পথ উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। দেশটিতে এ ভাইরাসে আক্রান্তদের বেশিরভাগই পুরুষ এবং এসব পুরুষ অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রী জেভিয়ার বেসেররা বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সংক্রামক এ ভাইরাস মোকাবিলায় আমরা আমাদের পদক্ষেপ পরবর্তী স্তরে নিতে প্রস্তুত। মাঙ্কিপক্সকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার জন্য আমরা সব আমেরিকান নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে, একই ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) ডিরেক্টর রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, ‘মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবকে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার ফলে এটি এখন থেকে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের তথ্যের প্রাপ্যতা আরও উন্নত করবে। আর সংক্রামক এ ভাইরাস মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে ওই তথ্য আমাদের সহায়তা করবে।’
সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয় এবং নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রশাসন। মাঙ্কিপক্সের মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপও নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সকল স্তরে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য দুই উচ্চপদস্থ ফেডারেল কর্মকর্তাকে নিয়োগও করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, মার্কিন সরকার গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশজুড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিনের ডোজ বিতরণ করেছে। ভ্যাকসিন নির্মাতা বাভারিয়ান নর্ডিক-এর কাছে আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকার চাহিদার কথা জানিয়েছে বাইডেন সরকার।